চিটাগংয়ের হাতের ফাঁকফোকর দিয়ে সিলেটের ১৬৫

সাব্বিরকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন ফ্লেচার। সংগৃহীত ছবি
সাব্বিরকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন ফ্লেচার। সংগৃহীত ছবি

সিলেট সিক্সার্সের বিপিএল শেষ হয়ে গেছে আগেই। আজ চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে শুধু ভালো সমাপ্তির আশা তাদের। শেষের শুরুটা ভালোই হলো তাদের। আন্দ্রে ফ্লেচারের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে চিটাগংয়ের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান তুলেছে তারা। রংপুরকে টপকাতে হলে ভাইকিংসদের আজ তাই ভালো ব্যাটিংই করতে হবে।

শেষ ম্যাচে এসে নতুন এক বোলারকে নামানোর ইচ্ছে হলো চিটাগং ভাইকিংসের। শীর্ষ চারে অবস্থান সুদৃঢ় করার ম্যাচে হার্ডাস ভিলোয়েনের অন্তর্ভুক্তি একমাত্র পরিবর্তন ছিল না। ৯ ম্যাচ পরে দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। দল সাজানোর এই খেলাতে তাই বিপিএলে প্রথমবারের মতো কিপিং গ্লাভস হাতে দেখা গেল মুশফিকুর রহিমকে। এত সব বদলের ভিড়ে ভিলোয়েনই এখনো পর্যন্ত কোনো ভূমিকা রেখেছেন ম্যাচে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এক টেস্ট খেলা এই ফাস্ট বোলারের কারণেই যে পাহাড় গড়া হলো না সিলেটের। অন্যদিকে সহজ এক ক্যাচ ফেলেছেন আশরাফুল।

প্রথম ওভারেই আবু জায়েদকে এক চার ও এক ছয় মেরে ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন ফ্লেচার। কিন্তু আফিফ হোসেন ও জেসন রয়কে পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দিয়ে সিলেটকে খুব বেশি এগোতে দেননি ভিলোয়েন। ফ্লেচার ও মোহাম্মদ নওয়াজ মিলে শেষ দিকে ঝড়ের আভাস দিচ্ছিলেন। দ্বিতীয় স্পেলে এসে পর পর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে সেটাও থামিয়ে দিয়েছেন এই পেসার। টানা দুই বলে দুই সেট ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ভিলোয়েন। নিজের প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট, মোটেও খারাপ বলা যাবে না!

ভিলোয়েনের এমন বোলিং পারফরম্যান্সের পরও সিলেট যে দেড় শ পার হলো, এর কৃতিত্ব ফ্লেচার ও চিটাগং ফিল্ডারদের। একের পর এক ক্যাচ ফেলেছেন ভাইকিংস ফিল্ডাররা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন ফ্লেচার। ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েছেন ফ্লেচার। রানের গতি ধরে রাখার দায়িত্বটা ছিল তাঁর কাঁধে। আর অন্যদিকে ধীরে সুস্থে শুরু করে পরে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করেছেন সাব্বির। কিন্তু ২৫ বলে ৩২ রান করে নাঈমের বলে বিদায় নিয়েছেন সাব্বির। নওয়াজ নেমে রানের গতি বাড়িয়েছেন। ৫.৩ ওভারে ৫১ রানের জুটিতে ৩৪ রানই ছিল তাঁর। অন্যপ্রান্তে ফ্লেচার তখনো আস্থা দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভিলোয়েনের বলে নওয়াজ ও ফ্লেচার (৫৩ বলে ৬৬) বিদায় নেওয়ায় বড় স্কোর গড়া হয়নি সিলেটের। প্রথম ৩ ওভারে ৪২ রান দেওয়া আবু জায়েদ শেষ ওভারে দারুণ বল করে দিয়েছেন মাত্র ৬ রান।