বিশ্বকাপ কি স্পিনারদের হবে, স্পিন-সম্রাট কী বলেন

এবারের বিশ্বকাপে কতটা দাপট দেখাবেন স্পিনাররা? উত্তর দিয়েছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। ফাইল ছবি
এবারের বিশ্বকাপে কতটা দাপট দেখাবেন স্পিনাররা? উত্তর দিয়েছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। ফাইল ছবি

১৯৯৯ বিশ্বকাপ ছিল শেন ওয়ার্নের বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আগেও বিতর্কের মেঘ এমনভাবে ঘিরে ধরেছিল, সেই আসরে ওয়ার্ন খেলবেন কি না, তা নিয়ে ছিল সংশয়। সব সংশয় মুছে ফেলতে ওয়ার্ন তাঁর কবজি থেকে একের পর এক ফ্লিপার আর গুগলি ছোড়া শুরু করলেন। হয়ে গেলেন ওই আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। অস্ট্রেলিয়াও খাদের কিনার থেকে ঘুরে জিতেছিল তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা। অস্ট্রেলিয়ার মতো ওয়ার্নও অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন সেই বিশ্বকাপ দিয়ে।

মে-জুনের ইংলিশ সামারে একজন স্পিনারের এমন দাপট! সেই স্মৃতি ফিরে আসছে আবার। ২০ বছর পর আবারও যে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফিরছে তার আঁতুড়ঘরে। এই দুই দশকে সারা বিশ্বেই উইকেটের চরিত্র বদলেছে। ইংলিশ উইকেটগুলোও আদি অকৃত্রিম চরিত্র কিছুটা হলেও হারিয়েছে। কিন্তু তবু মে-জুনে এবারও বিশ্বকাপ বলে প্রশ্নটা উঠছে, এবারের আসরে কেউ কি ওয়ার্নের মতো জাদু দেখাতে পারবেন? ওয়ার্নকেও পেরিয়ে সর্বকালের সফলতম স্পিনারের মুকুট পরা মুত্তিয়া মুরালিধরন অবশ্য মনে করেন, কন্ডিশন হয়ে উঠবে অনেক বড় প্রভাবক।

এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট ধরা হচ্ছে ভারতকে। তবে বিশ্বকাপ জিততে চাইলে শুধু তো ব্যাট হাতে বিরাট কোহলিদের নয়; বল হাতেও জ্বলে উঠতে হবে বোলারদের। দুই বছর ধরে ভারতের ওয়ানডে সাফল্যের অন্যতম কারিগর হয়ে আছেন দুই রিস্ট স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদব। ভারত সফরে আসা মুরালিধরনকে তাই সেখানকার সাংবাদিকেরা প্রশ্নটা করলেন। ভারতের জামাই মুরালি প্রথমে এই দুজন স্পিনারকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়ে দিলেন, ‌‘আপনাদের দুজন অসাধারণ রিস্ট স্পিনার আছে, ভারতের নির্বাচকেরাও এই দুজনের সামর্থ্যের ব্যাপারে আশাবাদী, বিশেষ করে ওরা যে দুর্দান্ত খেলছে! এখন তো অন্য দেশে রিস্ট স্পিনার খুব একটা দেখাই যায় না। এই একটা ব্যাপারে অন্যান্য দেশ ভারতকে অনুসরণ করতে পারছে না।’

১৯৯৯ বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ৬ উইকেট নেওয়া মুরালি কন্ডিশনের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘কুলদীপ আর চাহাল বিশ্বকাপে কত ভালো করবে, সেটা কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করছে। সাধারণত ওই সময়টায় ইংল্যান্ডের উইকেট সুইং বোলিংকে বেশি সাহায্য করে।’

১৯৯৯ বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান মুরালির কথাই সমর্থন করছে। ওই আসরে ওয়ার্ন যৌথভাবে নাথান অ্যাস্টলের সঙ্গে শীর্ষ উইকেট শিকারি হলেও আদতে পেসাররাই দাপট দেখিয়েছেন। ওই বিশ্বকাপের ৫৪৮ উইকেটের ৪৬১টি নিয়েছিলেন পেসাররা। ৮৭ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনাররা।