স্ত্রীর কারণে রিয়ালে নাম লেখানো হয়নি আর্জেন্টিনা তারকার!

ওয়ান্ডা নারা ও ইকার্দির সম্পর্ক প্রেমময়। কিন্তু এই সম্পর্কের কারণেই নাকি ইকার্দির বাকি সব সম্পর্ক তলানিতে যাচ্ছে! ফাইল ছবি
ওয়ান্ডা নারা ও ইকার্দির সম্পর্ক প্রেমময়। কিন্তু এই সম্পর্কের কারণেই নাকি ইকার্দির বাকি সব সম্পর্ক তলানিতে যাচ্ছে! ফাইল ছবি
>মাউরো ইকার্দি মাত্র ২১ বছর বয়সে ইন্টার মিলানের মতো ক্লাবের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন। চার বছর পরে এসে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারকে। নেপথ্য কারণ ইকার্দির স্ত্রী নারা, যাঁর নাছোড় মানসিকতা রিয়ালকেও ইকার্দির ব্যাপারে ভাবতে নিরুৎসাহিত করেছে

স্ত্রীর কারণেই নাকি জাতীয় দলে খেলা হচ্ছিল না তাঁর। ক্লাবের জার্সি গায়ে নিজেকে প্রমাণ করার পরও ৬ বছরে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে চড়াতে পেরেছেন মাত্র ৮ বার। এবার শোনা যাচ্ছে মাউরো ইকার্দির গায়ে চড়তে চড়তেও রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি দেখা গেল না, এর কারণও নাকি স্ত্রী! ওয়ান্ডা নারা একই সঙ্গে ইকার্দির এজেন্টের ভূমিকাও পালন করেন। নারার মতো নাছোড়বান্দা মানসিকতার এজেন্টের কারণেই নাকি রিয়াল এগিয়ে গিয়েও পিছিয়ে এসেছে।

ইন্টার ও ইকার্দির সম্পর্ক এখন চরমে গিয়ে পৌঁছেছে। মাত্র ২১ বছর বয়সে ইতালির সবচেয়ে ঐতিহ্যবাদী ক্লাবগুলোর একটির অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন। ইন্টার তাঁর ওপর কতটা আস্থা রেখেছিল, এই তথ্যই বলে দেয়। ক্লাবকে নিজের সাধ্যমতো প্রতিদানও দিয়েছেন। কিন্তু নতুন চুক্তি নিয়ে ঝামেলা বাধে। নারা প্রকাশ্যে ক্লাব কর্তাদের এত সমালোচনা করেছেন, দুই পক্ষের সম্পর্কের অবনতি হয়। ইকার্দির কাছ থেকে স্থায়ীভাবে অধিনায়কত্বও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

এরই প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে ইউরোপা লিগের ম্যাচ খেলতে ভিয়েনায় যেতে অস্বীকৃতি জানান ইকার্দি। গত রোববারও লিগে তাঁরই সাবেক ক্লাব সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে একাদশে দেখা যায়নি তাঁকে। গত বৃহস্পতিবারের বিদ্রোহের শাস্তি হিসেবে রোববার তাঁকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন কোচ।

ইন্টার এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরতে মরিয়া। পয়েন্ট টেবিলের তিনে আছে তারা। কোনোভাবেই এবার পা হড়কাতে চায় না দল। এর মধ্যেই খোদ দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে নিয়ে এমন অস্থিরতা! এর মূল দায় ক্লাব কর্তারা চাপিয়ে দিচ্ছেন নারার ওপর। ইকার্দির স্ত্রী প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে ক্লাব কর্তাদের তীব্র সমালোচনা করেন। এবার তো চুক্তি নবায়ন নিয়ে দুই পক্ষের সম্পর্কে কাদা লেগে গেল। এরই মধ্যে ইকার্দিকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াকে নারা ব্যাখ্যা করেছেন তাঁর স্বামীর এক পা কেটে ফেলার সঙ্গে।

সব ভালোয় ভালোয় মিটে গেলে ইকার্দি চুক্তি নবায়ন করবেন। আর যদি সম্পর্কের আরও অবনতি হয়? ইকার্দিকে ঠিকানা বদলাতে দেখা যাবে। অনেক দিন ধরেই এই তরুণ স্ট্রাইকারের ওপর চোখ রাখা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য সেটি হয়ে আসতে পারে সুযোগ হিসেবে। কিন্তু নারার যে ভাবমূর্তি, রিয়াল এই ঝামেলা ঘরে টেনে আনতে চায় না। এমনকি নারার কারণে ইন্টার মিলানের ড্রেসিং রুমে পর্যন্ত অস্বস্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে খবর এসেছে। টিভি ব্যক্তিত্ব নারা যে ইকার্দির অনেক সতীর্থকে নিয়েও ঝাঁজাল সব মন্তব্য করেন প্রায়ই। ইকার্দিকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ক্লাবের এক খেলোয়াড় দৃঢ় কণ্ঠে সিদ্ধান্তটিকে সমর্থন দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। সব দেখেশুনে ইকার্দিকে তাই আর দলে ভেড়ানোর জন্য জোর করেনি রিয়াল। খবরটি দিয়েছে মার্কা।

ইকার্দির আর্জেন্টিনা সতীর্থ ম্যাক্সি লোপেজের স্ত্রী ছিলেন নারা। লোপেজ দাবি করেন, তাঁর পিঠে বিশ্বাসঘাতকতার ছুরি মেরে ইকার্দি ও নারা প্রণয়ে জড়িয়েছিলেন। এ নিয়ে তখন এত লেখালেখি হয়, ইকার্দি অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকার পরও আর্জেন্টিনা দলে নিয়মিত সুযোগ পাননি।