খাবারের টাকা না পেয়ে বাফুফে সভাপতিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাফুফে সভাপতিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ফাইল ছবি
বাফুফে সভাপতিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ফাইল ছবি
>গাজীপুর জেলার সাদেক বিভিন্ন সময়ে বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র জাতীয় দলের ক্যাম্প কমান্ডার ছিলেন। ২০১৬ ও ১৭ দুই অর্থবছরে বাফুফের কাছে তাঁর পাওনা ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকা

পাওনা টাকা আদায়ে শেষ পর্যন্ত মামলার পথেই হেঁটেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার আবদুস সাদেক। জাতীয় দলের ক্যাম্প চালানোর খরচ বাবদ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে সাদেকের পাওনা ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকা। প্রাপ্য অর্থ না পাওয়ায় ৩ ফেব্রুয়ারি বাফুফেকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সাদেক। কিন্তু তাতেও সুরাহা না হওয়ায় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে করেছেন মামলা।

গাজীপুর জেলার সাদেক বিভিন্ন সময়ে বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র জাতীয় দলের ক্যাম্প কমান্ডার ছিলেন। তাঁর কাজ সাধারণত খেলোয়াড়দের খাবার সরবরাহ করা। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দলের অনুশীলনে ও ম্যাচে বিভিন্ন সামগ্রী দিয়েছেন। ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ দুই অর্থবছরে বাফুফের কাছে তাঁর পাওনা ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকা। বাফুফের সঙ্গে এ নিয়ে কয়েকবার যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু অর্থ পাওয়ার ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ৩ ফেব্রুয়ারি সাদেকের হয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন রেফায়েতুল করিম লেনিন।

উকিল নোটিশের জবাব দেওয়ার সময় ছিল সাত দিন। কিন্তু কোনো জবাব না পাওয়ায় আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করে মামলার পথে হেঁটেছেন সাদেক, ‘তাঁরা (বাফুফে) আমার উকিল নোটিশের কোনো জবাব দেননি। জবাবের তারিখ পার হয়ে যাওয়ার পর আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করেই সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’ সাদেকের আইনজীবীর তরফ থেকে জানা যায়, মামলাটি হয়েছে সিভিল কোর্টে ঢাকা পঞ্চম জজ আদালতে, যার প্রথম শুনানি ১৮ মার্চ।

তবে মামলার কোনো কপি এখনো বাফুফের হাতে পৌঁছায়নি। অন্যদিকে সাদেকের নামে পাল্টা উকিল নোটিশ পাঠিয়ে তাঁর বিল ভাউচারের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘আমরা এখনো মামলার কপি পাইনি। তবে আমরা সাদেককে ১৪ দিনের মধ্যে তাঁর পাওনা বিল ভাউচার জমা দেওয়ার জন্য উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। যার মেয়াদ শেষ হবে ১ মার্চ।’

এর আগে আন্তর্জাতিক মহলেও উঠেছিল বাফুফের বিরুদ্ধে আর্থিক অভিযোগ। ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নেপাল। কিন্তু এর পরে আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও পরিশোধ করা হচ্ছিল না চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি। এই নিয়ে বারবার বাফুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল চ্যাম্পিয়ন নেপাল।