কোহলির যে আচরণে ভারতীয়রা খুশি

মুখে আঙুল দিয়ে দর্শকদের চুপ করার ইশারা করছেন কোহলি। ছবি: টুইটার
মুখে আঙুল দিয়ে দর্শকদের চুপ করার ইশারা করছেন কোহলি। ছবি: টুইটার

ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি যেন কোনো শিল্পীর আঁকা নিখুঁত ছবি। কিন্তু এর বাইরেও কোহলিকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বিশেষ করে খেলার মাঠে তাঁর আক্রমণাত্মক আচরণ আলোচনার জন্ম দেয় কিছুদিন পর পরই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। তবে পার্থক্য হলো, এবার ভারতীয় অধিনায়কের সেই ‘আচরণে’র প্রশংসাই করেছেন দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরা।

বিশাখাপত্তনমে পরশু ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে দুই দলের জাতীয় সংগীত শেষে দুই মিনিট নীরবতা পালন করে ভারতীয় দল। সঙ্গে যোগ দেয় অস্ট্রেলিয়া দলও। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত ভারতীয় জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই নীরবতা পালন করেন কোহলিরা। এদিন কালো আর্মব্যান্ড পরেও মাঠে নেমেছিলেন তাঁরা। কিন্তু রাজাশেখর রেড্ডি স্টেডিয়ামে গ্যালারির একাংশের দর্শকেরা এই নীরবতা পালন ভেস্তে দেন। তাঁদের চিৎকার চেঁচামেচিতে শ্রদ্ধা জানানোর আবহে ছন্দপতনই ঘটে।

দর্শকদের এই আচরণ কোহলি মোটেও মেনে নিতে পারেননি। মুখে আঙুল তুলে তিনি দর্শকদের চুপ করে থাকার ইশারা করেন। আশ্চর্যের ব্যাপার, যে ক্রিকেটকে ধ্যানজ্ঞান মনে করে আসছে ভারতের দর্শকেরা সেই তাঁরা-ই নিজেদের জাতীয় দলের অধিনায়কের অনুরোধটুকু রাখেনি! কারণ কোহলি অনুরোধের পরও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। দর্শকেরা ঠিকই কোলাহল করে পরিবেশ গরম রেখেছে। আর এতে ভারতীয় দর্শকদের এই কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের সমালোচনা করেছেন স্বয়ং দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরাই।

টুইটারে এক ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমী লিখেছেন, ‘নিহত জওয়ানদের জন্য মাত্র দুই মিনিট নীরবতা পালনের সময় বরাদ্দ ছিল। আমার প্রশ্ন, এদের (দর্শক) কি ন্যূনতম সৌজন্যবোধ নেই? আমরা আসলে শোকের ভান করছি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ওই সব স্থুল বুদ্ধি সম্পন্ন লোকদের দেখুন—যারা নীরবতা পালনের সময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত আর চিৎকার চেঁচামেচি করছে। এরাই আবার অন্যদের দেশাত্মবোধ শেখায়!’