নিউজিল্যান্ডে খেলতে প্রস্তুত ইবাদত

বিপিএলে খুব বেশি দেখা যায়নি তাঁকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সিলেট সিক্সার্সের বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে ইবাদত হোসেনের। চার ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েই জাতীয় দলের কোচ স্টিভ রোডসের সুনজরে এসে গেছেন। কোচের পছন্দে নিউজিল্যান্ড সফরের টেস্ট দলেও জায়গা মিলেছে তাঁর। ওয়ানডে সিরিজে না খেললেও সময়টা বৃথা যায়নি। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছেন ইবাদত। অন্তত টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই, এমনটা দাবি করতে পারছেন এই পেসার।

পেসার হান্টের মাধ্যমে নজরে আসা ইবাদত বহুদিন ধরেই জাতীয় দলের আশপাশে আছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক অভিষেক আর হয়ে উঠছে না তাঁর। এ নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাচ্ছেন না ইবাদত। নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে বোলিং অনুশীলন করা ও জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকতে পেরেই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন ইবাদত, ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ। আমাকে অনেক ভালো ও সুন্দর একটা সুযোগ দিয়েছেন। আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন এবং দ্বিতীয়বারের মতো নিউজিল্যান্ডে নিয়ে এসেছেন বলে নির্বাচক ও ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ। টেস্টের বেশ আগেই আমরা এখানে এসেছি। এখানে এত আগে আসার উদ্দেশ্যই ছিল উইকেট ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। এ উদ্দেশ্য বেশ ভালোভাবেই পূরণ হচ্ছে। আর গত কয়েক দিন আমরা যে অনুশীলন করেছি, সেটা অনেক কাজে দিয়েছে।’

টেস্ট সিরিজের আগে প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে বলেই দাবি করলেন ইবাদত। ফাইল ছবি
টেস্ট সিরিজের আগে প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে বলেই দাবি করলেন ইবাদত। ফাইল ছবি

নিউজিল্যান্ডে এবারই প্রথম যাননি ইবাদত। এর আগেও এই অপরিচিত কন্ডিশনে অনুশীলনের সুযোগ মিলেছে তাঁর। কিন্তু গতবারের সঙ্গে এবারের পার্থক্যটা নিজেই টের পাচ্ছেন ইবাদত। এবার বাড়তি সময়ের সঙ্গে যে অতীত অভিজ্ঞতাকেও সঙ্গী পাচ্ছেন এই পেসার, ‘২০১৬ সালে যখন এসেছিলাম, তখন উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কিংবা আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ও মারিও এবং অন্য সবার সঙ্গে কাজ করেছি, এটা খুব ভালো কাজে লেগেছে। ওয়ালশ বলেছেন, দুই বছর আগের চেয়ে এখন তোমার অনেক উন্নতি হয়েছে।’

আগামী বৃহস্পতিবার হ্যামিল্টনে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সিরিজের আগে মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে সে ম্যাচের আবার দ্বিতীয় দিনের প্রায় পুরোটাই ভেসে গেছে। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে না পারা অস্বস্তিকর। তবু ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সে ইবাদতের মনে হয়েছে তাঁরা প্রস্তুত, ‘ক্রাইস্টচার্চে যে ছয়-সাত দিন অনুশীলন করেছি, খুবই বাতাস ছিল। ঠান্ডাও ছিল। এখানে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আসলেই খুব কঠিন। সে তুলনায় বেশ ভালোই হয়েছে প্রস্তুতি। আমরা যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি, সেখানে ব্যাটসম্যানরা খুব ভালো করেছে। বোলাররাও যে ১২ ওভার বল করেছে ভালোই করেছি বলে আমার মনে হয়।’