নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন জয়াসুরিয়া

নিজের অবস্থান জানানোর জন্য টুইটারকে বেছে নিয়েছেন জয়াসুরিয়া। ছবি: এএফপি
নিজের অবস্থান জানানোর জন্য টুইটারকে বেছে নিয়েছেন জয়াসুরিয়া। ছবি: এএফপি
দুর্নীতি জেঁকে বসেছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে। লঙ্কান ক্রিকেটকে দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে আইসিসি নড়েচড়ে বসেছে। সেই দুর্নীতিবিরোধী ‘অভিযানে সহায়তা না করায়’ সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সনৎ জয়াসুরিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন জয়াসুরিয়া।

দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সাহায্য না করার অভিযোগে শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সনৎ জয়াসুরিয়াকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। কিন্তু জয়াসুরিয়া নিজে কি ভাবছেন এ ব্যাপারে? নিজের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে ভক্ত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন তিনি।

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে বক্তব্য দিয়েছেন জয়াসুরিয়া, ‘আমাকে আইসিসি বলেছিল সিমকার্ড আর আইফোন জমা দিতে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে আইসিসি আমার ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। তারা আমার কাছে যেসব জিনিস চাচ্ছিল তার মধ্যে আমার ব্যক্তিগত অনেক জিনিসপত্র ছিল, তাই আমি দিতে রাজি হইনি। আমার দুর্ভাগ্য, আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কমিটি আমার কাছে যেসব তথ্য চেয়েছিল, আমি সব দিয়েছি। তবুও তারা আমাকে অভিযুক্ত করেছে, যদিও আমার বিরুদ্ধে কোনো ম্যাচ গড়াপেটা, দুর্নীতি কিংবা গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্যাদির অপপ্রয়োগ ঘটানোর কোনো অভিযোগ নেই।’
নিজের ব্যক্তিত্ব ও সততার সঙ্গে জয়াসুরিয়া কখনো আপস করেননি, এই ব্যাপারেও করছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি আমার পুরো ক্যারিয়ারে কখনই আমার আত্মসম্মান ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আপস করিনি। সব সময় নিজের দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছি সবচেয়ে বেশি। আর বিশ্বব্যাপী যারা ক্রিকেট ভালোবাসেন, তারা এ ব্যাপারে জানেন সবচেয়ে বেশি।’
ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি তিনি, ‘আমি শ্রীলঙ্কার জনগণকে ধন্যবাদ জানাই, যারা এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কমিটিকেও আমার ধন্যবাদ, আমাকে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার জন্য। আমার দুই আইনজীবীর প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।’
দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটকে (এসিইউ) সাহায্য না করে বরং তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন বলেও অভিযোগ আছে জয়াসুরিয়ার নামে। যার ফলাফল এই শাস্তি। এই দুই বছর ক্রিকেট সম্পর্কিত কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি। এই অপরাধে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ার কথা পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু জয়াসুরিয়ার ‘অতীতের ভালো আচরণ’-এর কথা মাথায় রেখে শাস্তি কমিয়ে দুই বছর করা হয়।