ফিলিপাইনকে ১০ গোল দিল মেয়েরা

হ্যাটট্রিকের পথে তহুরা খাতুন। ছবি: বাফুফে
হ্যাটট্রিকের পথে তহুরা খাতুন। ছবি: বাফুফে

ফিলিপাইনের গোলরক্ষককে দেখে বেশ অসহায় লাগছিল। একের পর এক গোল করে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আর পোস্ট থেকে বল কুড়িয়ে এনে সতীর্থদের হাতে তুলে দিয়ে ফিলিপাইন গোলরক্ষক যেন বলছেন, ‘কী আর করা যাবে! নে, আবার খেলা শুরু কর।’

গোলরক্ষক হিসেবে এত বার বল কুড়িয়ে আনার কষ্ট শুধু গোলরক্ষক-ই জানেন। ফিলিপাইনের বিপক্ষে বিশাল এই জয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ চূড়ান্ত পর্বের পথে কিছুটা হলেও এগিয়ে গেল বাংলাদেশ দল। চার দলের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হলে তো কথাই নেই, রানার্সআপ হলেও পাওয়া যাবে চূড়ান্ত পর্বের টিকিট, চলতি বছর সেপ্টেম্বরে যা অনুষ্ঠিত হবে থাইল্যান্ডে।

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ধাপে এত ভালোর শুরুর আশা করেনি হয়তো বাংলাদেশও। মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের জন্য বড় এক ধাঁধার নাম ছিল ফিলিপাইন। অচেনা এই প্রতিপক্ষকে নিয়েই আজ খেলেছেন তহুরা খাতুন, মারিয়া মান্দারা। প্রথমার্ধে ছয় গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও চার গোল! সব মিলিয়ে ফিলিপাইনের বিপক্ষে ১০-০ গোলের বিশাল এই জয়ে ম্যাচে চার গোল করেছে তহুরা খাতুন। এ ছাড়া আনুচিং মগিনি করেছে জোড়া গোল এবং একটি করে গোল করেছে অধিনায়ক মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার ( বড়) ও শামসুন্নাহার (ছোট)। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।

স্কোর লাইন-ই বলছে এই ম্যাচ নিয়ে কাটাছেঁড়া না করলেও চলে। সহজ কথায়, ফিলিপাইনকে একেবারে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে তহুরা, শামসুন্নাহাররা। গোল পোস্টে শুট করা তো দূরের বাতিঘর! এমনকি তারা আসতে পারেনি বাংলাদেশের বক্সের সামনেও। সরাসরি খেলাটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের গোলরক্ষকের নাম অজানাই থাকার কথা। কারণ কোনো বিপদ-ই যে তাঁকে সামলাতে হয়নি। তবু জানিয়ে রাখা ভালো বাংলাদেশের গোলরক্ষক ছিলেন রুপনা চাকমা।

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী স্বাগতিক মিয়ানমার, চীন ও ফিলিপাইন। ১ মার্চ স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি চীনের সঙ্গে খেলবে ৩ মার্চ।


বাংলাদেশের গোলদাতা ও সময়: তহুরা ( ২,১৭,২৪,৩৬); আনুচিং ( ৫৮, ৮৬); শামসুন্নাহার ( ছোট- ১৮) ; শামসুন্নাহার ( বড়- ৪২); মারিয়া মান্দা (৬৪); আত্মঘাতী ( ৯০‍+২)