ইবাদতদের দোষ দিচ্ছেন না রোডস

অভিষেক টেস্টে এখনো উইকেটশূন্য ইবাদত। ছবি: এএফপি
অভিষেক টেস্টে এখনো উইকেটশূন্য ইবাদত। ছবি: এএফপি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদটা পেয়েই গেলেন ইবাদত। হ্যামিল্টনে টেস্ট অভিষেক হয়েছে এই পেস বোলারের। গতিময় বোলারের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সুসংবাদ এটি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও ইবাদত তাঁর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ২১ ওভার বল করে এখনো উইকেটশূন্য এই পেসার। টেস্টে বাড়তি গতির বোলারের খোঁজ তো উইকেট নেওয়ার জন্যই!

সে দিক থেকে চিন্তা করলে ইবাদতে হতাশ হতে পারতেন কোচ স্টিভ রোডস। হতাশ হতে পারেন আরেক পেসার খালেদ আহমেদের ওপরেও। হ্যামিল্টনে ২২ ওভার করা হয়ে গেছে তাঁর, খালেদও কোনো উইকেট পাননি। সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৫২ ওভার বল করেছেন এই পেসার। বাড়তি গতির ও বাউন্স দেখিয়ে আশা জাগানো এক বোলারের এমন পারফরম্যান্সও হতাশা জাগাতে পারে। কিন্তু কোচ আগলে রাখলেন সবাইকে, ‘ইবাদতের মতো কারও সমালোচনা করা খুব কঠিন। সে অনেক আগ্রহ দেখিয়েছে। ভালো গতি তুলেছে। ওদের শুধু একটু অভিজ্ঞতা দরকার। আগামীকালের জন্য ওদের আবার শক্তি পুনরুদ্ধার করতে হবে। এই দিকটায় উন্নতি আনতে হবে। সঠিক লাইন ও লেংথে টানা বল করে যাওয়াটা তো আছেই।’

সঠিক লাইন ও লেংথের প্রসঙ্গটা আনতে বাধ্যই হলেন কোচ। কারণ আজ দ্বিতীয় দিনে তিন মূল পেসারের (আবু জায়েদ, খালেদ ও ইবাদত) কেউই তাঁদের স্পেলে টানা ভালো বল করতে পারেননি। ফলে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা কখনো চাপ অনুভব করেননি। তিন পেসারের উইকেটশূন্য থাকার নেপথ্যে এটা ভূমিকা রেখেছে। আরেকটি কারণ অবশ্য কোচ বলেননি। ফিল্ডারদের অসহযোগিতা।

৪ উইকেটে ৪৫১ রান তুলে ২১৭ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিক দল। নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটিই বাংলাদেশের পুরো ইনিংসের চেয়ে ২০ রান করেছে। ২৫৪ রানের ওই জুটির পর ম্যাচ থেকে এক প্রকার ছিটকেই পড়েছে বাংলাদেশ। অথচ জুটিটা থামতে পারত শূন্য রানেই। সৌম্য সরকার যদি একটু সাবধানী হতেন তাহলেই হয়তো টম ল্যাথামের আরেকটি সেঞ্চুরি দেখতে হতো না বাংলাদেশকে। আর উইকেটের দেখা ইবাদত পেতেন নিজের প্রথম ওভারেই। অভিষেক টেস্টে প্রথম ওভারে উইকেট পাওয়ার টনিকটা যে ইবাদত ও অন্যান্য পেসারদের ওপর ভর করত না তার নিশ্চয়তা কী? খালেদ আহমেদও যে নিজের তৃতীয় ইনিংসেও উইকেটশূন্য রয়েছেন তার দায়ও সতীর্থদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাঁর বলেও সহজ সব ক্যাচ হাতছাড়া হওয়াতেই এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের ঘরে কিছু লেখাতে পারেননি খালেদ। বোলারদের ঘাড়ে তাই পুরোপুরি দায় দেওয়ার উপায়ও নেই কোচ রোডসের।