বিশ্বকাপে ডাইভ দিয়েছেন, সন্দেহ হচ্ছিল নেইমারের!

বিশ্বকাপজুড়েই ডাইভিং বিতর্কে জর্জরিত ছিলেন নেইমার। ছবি: এএফপি
বিশ্বকাপজুড়েই ডাইভিং বিতর্কে জর্জরিত ছিলেন নেইমার। ছবি: এএফপি
>

এবার বিশ্বকাপে যতটা না নিজের খেলার জন্য আলোচিত হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন ‘ডাইভ’ দেওয়ার জন্য। এত দিন পর পেছনে ফিরে তাকিয়ে নেইমার বলছেন তাঁর নিজেরও সন্দেহ জেগেছিল ডাইভ হয়তো দিয়েছিলেন!

নেইমার ও তার বাবার কল্যাণে আবারও আলোচনায় বিশ্বকাপে নেইমারের ‘ডাইভ-বিতর্ক’। কিছুদিন আগে নেইমারের বাবা আহ্বান জানিয়েছিলেন, চোট থেকে বাঁচতে চাওয়ার অভিনব কৌশলকে যেন ‘ডাইভিং’ না বলা হয়। এখন নেইমার বলেছেন, তিনি আসলেই বুঝতে পারছেন না, বিশ্বকাপে ডাইভ দিয়েছেন নাকি দেননি।

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘এস্পোর্তে এস্পেকট্যাকুলার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপে তাঁর প্রতি আনা ‘ডাইভিং’ বিতর্কের ব্যাপারে কথা বলেছেন নেইমার। পায়ের চোটে পড়ে এখন মাঠের বাইরে, হাতে অখণ্ড অবসর। অবসর সময়ে বিশ্বকাপে নিজের খেলা ম্যাচগুলোর ফুটেজ দেখে তাঁর মনে সন্দেহ জেগেছে, আসলেই তিনি ডাইভ দিয়েছেন কি না, ‘আমি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর ফুটেজ দেখছিলাম। দেখতে দেখতে আমার মনে হচ্ছিল, আমি কি আসলেই ডাইভ দিয়েছি?’

নেইমার মনে করেন, ব্রাজিল ব্যর্থ হলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সমালোচনা হয় তাঁকে নিয়ে, ‘ব্রাজিল হারলে বলতে গেলে আমার ওপরেই সব দোষ চাপানো হয়। আমার মনে হয় আমাকে একটু বেশিই সমালোচনা সহ্য করতে হয় বাকিদের চেয়ে। অবশ্য আমি জানি এমনটাই হবে যে। ক্যারিয়ারজুড়ে তীব্র সমালোচনার তীর সহ্য করে এসেছি আমি, তাই না?’

নেইমার ছাড়াও আরেকজনের ঘাড়ে ব্রাজিল-ব্যর্থতার দায় চেপেছে সবচেয়ে বেশি, মানছেন তিনি। তিনি ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ফার্নান্দিনহো, ‘বিশ্বকাপের পর ফার্নান্দিনহোকেও অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। আমি জানি না কেন। কিন্তু প্রয়োজনের চেয়েও বেশি দোষ দেওয়া হয়েছে তাকে।’

এদিকে এত দিন পর নেইমারের বাবা এসেছেন ‘ডাইভিং’ বিতর্কে ছেলের পক্ষে সাফাই গাইতে। পিএসজির ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের বাবা বলেছেন, এটাকে যেন কেউ ডাইভ হিসেবে না দেখেন। বরং বাজে ধরনের ফাউলের হাত থেকে বাঁচার জন্য এটা নেইমারের একটা কৌশল! সেই ছোটবেলা থেকে নেইমার এসব করে থাকেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা, ‘লোকেরা এটিকে ডাইভ বা অভিনয় বলে। আসলে ও ডাইভ-টাইভ দেয় না। এটা ওর একটা কৌশল। যে কৌশল ও সেই ছোটবেলা থেকেই ব্যবহার করে আসছে। ও যখন একাডেমিতে খেলত, তখন থেকেই এটা করত।’

কৌশলটা নেইমারকে শিখিয়েছেন তার বাবাই, স্বীকার করেছেন তিনি, ‘আমি ওকে শিখিয়েছিলাম, বলের জন্য লড়াই করতে গেলে পারবে না। বলেছিলাম, “যদি দেখো তোমার আঘাত পাওয়ার শঙ্কা আছে, তাহলে বাতাসে লাফ দেবে। আকাশের দিকে উঠে মাঠে সুন্দরভাবে পড়ে গিয়ে গড়াগড়ি দেওয়া শুরু করবে, তাহলে আর তোমার হাত পা ভাঙবে না!”’