চীনের ৬৯ গোলের ৩টি পড়ল বাংলাদেশের ভাগে

ছবিই বলে দিচ্ছে শারীরিকভাবে চীনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। সংগৃহীত ছবি
ছবিই বলে দিচ্ছে শারীরিকভাবে চীনের চেয়ে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। সংগৃহীত ছবি
>মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে চীনের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। এই হারে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে যাচ্ছে চীন। বাংলাদেশ যাচ্ছে রানার্সআপ হিসেবে

সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষে হিসেবে চীনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। পুরো এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের এক ম্যাচে হারল বাংলাদেশ। সেটা আজ চীনের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে। এই পরাজয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে নাম লেখাল বাংলাদেশের মেয়েরা।

বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে ফিলিপাইন ও স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে চূড়ান্তপর্ব নিশ্চিত করেই রেখেছিল বাংলাদেশ। আজ চীনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু চীনের প্রাচীরের সামনে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে মারিয়া মান্দাদের। ৩-০ গোলের হারের প্রতি মুহূর্তে লেখা হয়েছে চীনের চেয়ে বাংলাদেশের অনেক পিছিয়ে থাকার গল্প। ট্যাকটিক্যালি খুব একটা পার্থক্য না থাকলেও গতি, শক্তি ও দমে এগিয়ে থেকে ম্যাচটা একতরফা করে ফেলেছে চীন। ম্যাচের প্রথমার্ধের এক গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে দুই গোল।

তবে এই হারের পরেও সামগ্রিকভাবে পুরো বাছাইপর্বের পরিসংখ্যান বিচার করলে বাংলাদেশকে শক্তিশালী দল বলতেই হচ্ছে। কারণ প্রতিপক্ষ চীনের দাপট দেখিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের মান। বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডের চার ম্যাচে ৫৪ গোল করা চীন দ্বিতীয় রাউন্ডের তিন ম্যাচে করেছে ১৫ গোল। অর্থাৎ চীনের ৬৯ গোলের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে তিনটি। বাছাইপর্বে চীনের বিপক্ষে সবচেয়ে কম গোল হজম করেছে লাল-সবুজরাই। প্রথম পর্বে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশ শ্রীলঙ্কা হজম করেছিল ১৭ গোল। সর্বোচ্চ ২০ গোল হজম করেছে গুয়াম।

বাছাইপর্বের দুই রাউন্ড মিলিয়ে সাত ম্যাচে ৩৮ গোল করেছে বাংলাদেশ। আজই প্রথম গোল হজম করেছে তারা।