নিউজিল্যান্ডে রুবেলের 'শিক্ষাসফর'

নিউজিল্যান্ড সফরে অনেক কিছুই শিখেছেন রুবেল। ফাইল ছবি
নিউজিল্যান্ড সফরে অনেক কিছুই শিখেছেন রুবেল। ফাইল ছবি
>নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে সিরিজে মাত্র একটি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন রুবেল হোসেন। কিন্তু সে ম্যাচে ভালো করেননি বাংলাদেশের এই পেসার। নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে বললেন, সফরে অনেক কিছুই শিখেছেন তিনি

নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বসে ছিলেন ডাগআউটে। ডানেডিনে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৯ ওভার বল করে ৬৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। সেখান থেকে দেশে ফিরে অবশ্য ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির দুটি ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর দল আবাহনী তো উঠতেই পারল না সেমিফাইনালে। তাই টুর্নামেন্টের শেষাংশটায় আবারও বাইরে বসেই দেখতে হলো রুবেল হোসেনকে। দর্শকের আসনটা যেন একরকম নিয়মিতই হয়ে উঠেছে এই পেসারের জন্য।

নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে সিরিজের বাইরে বসে থেকে দলের ভরাডুবি দেখা এবং শেষ ম্যাচে নেমেও বিশেষ কিছু করতে না পারার জ্বালায় নিশ্চয়ই এখনো পুড়ছেন রুবেল। ভুলে যেতে পারলেই ভালো, এমন একটা সিরিজ পার করে এসেছেন। কিন্তু রুবেল এই সফরকে দেখছেন ‘শিক্ষাসফর’ হিসেবে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের রুবেল কাল বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে তো আমরা সিরিজটা হেরে গেছি। কিন্তু ওই সিরিজ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে-ওই ধরনের কন্ডিশনে কীভাবে খেলতে হয়, বোলারদের কীভাবে বোলিং করতে হয়। আমার তো মনে হয় এই সিরিজ থেকে আমাদের বোলার-ব্যাটসম্যানরা অনেক কিছু শিখেছে।’

কিন্তু নিউজিল্যান্ড সফর তো একেবারে নতুন নয় বাংলাদেশের জন্য, রুবেলের জন্যও না। তাহলে কেন এমন বিধ্বস্ত হয়ে ফেরা? রুবেলের কথায় আঁচ করা যায়, কিউই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যে সময়টা দরকার, সেটি এবার পুরোপুরি পায়নি বাংলাদেশ। বলেছেন, নিউজিল্যান্ডে প্রচুর বাতাস থাকে। বাতাসের বিপক্ষে বোলিং করাটা খুব কঠিন। বাংলাদেশে সাধারণত এত জোরে বাতাস হয় না। তো বাতাসের সঙ্গে কীভাবে বোলিং করতে হবে, এটা খাপ খাওয়ানোর ব্যাপার আছে। যে যত দ্রুত ওই ধরনের কন্ডিশনে খাপ খাওয়াতে পারবে, সে তত ভালো করবে।

নিউজিল্যান্ড সফরে ফল পক্ষে আসেনি। কিন্তু সেই হেরে যাওয়া সফর থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজছেন রুবেল। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সফরটা ভালো প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তিনি।