'বাতাস' গায়ে মাখতে চাচ্ছে না বাংলাদেশ

ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
>বাংলাদেশ দল এখন ওয়েলিংটনে। নিউজিল্যান্ডের এ শহর পরিচিত বাতাসের শহর হিসেবে। উপমহাদেশের দল হিসেবে কঠিন এ কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়া সব সময়ই কঠিন। তবে দলের তরুণ ওপেনার সাদমান বাতাসের ভাবনা ভাবতে চান না

হ্যামিল্টন থেকে বাংলাদেশ চলে এসেছে ওয়েলিংটনে। নিউজিল্যান্ডের ‘বাতাসের শহর’ নামে পরিচিত এই শহরেই শুক্রবার শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এবার শুধু কিউই ফাস্ট বোলার কিংবা ব্যাটসম্যানদের নয়, ভাবতে হবে ওয়েলিংটনের বাতাস নিয়েও। দলের তরুণ ওপেনার সাদমান ইসলাম অবশ্য বাতাস নিয়ে ভাবতেই চান না।

ওয়েলিংটন পরিচিত বাতাসের শহর হিসেবে। এখানে বাতাসের বেগ সব সময়ই বেশি। তীব্র এ বাতাসে ভালো বোলিং কিংবা ব্যাটিং করতে হলে সবার আগে মানিয়ে নিতে হবে কন্ডিশনের সঙ্গে। কাজটা মোটেও সহজ নয়। তীব্র বাতাস নিয়ে তাই চিন্তায় থাকতে হয় সব সফরকারী দলকে। ওপেনার সাদমান অবশ্য বাতাস নিয়ে ভাবতে চান না, ‘বাতাস তো থাকবেই। এটা মাথায় নেওয়া যাবে না। এটা খুব সমস্যা করবে না মনে হয়। যদি আমরা স্বাভাবিক খেলি, তাহলেই হবে। বাতাস মাথায় রাখলে সমস্যা হবে, মাথায় না নেওয়াই ভালো।’

হ্যামিল্টন টেস্ট বাংলাদেশ ইনিংস ও ৫২ রানে হারলেও প্রাপ্তি ছিল তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ আর সৌম্য সরকারের ব্যাটিং। বিশেষ করি দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লড়াই। এই ইনিংসে বাংলাদেশ যেভাবে লড়াই করেছে, ওয়েলিংটনে ভালো করতে সেটি ভীষণ অনুপ্রাণিত করছে সাদমানকে, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে এত ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা, চেষ্টা করব পরের টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেভাবে খেলতে। আমরা সবাই চাই ভালো খেলতে। আশা করি ভালো ব্যাট করব।’ সঙ্গে নিজের লক্ষ্যটাও জানিয়ে রাখলেন হ্যামিল্টন টেস্টে ২৪ ও ৩৭ রান করা বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি তরুণ ওপেনার, ‘ওয়াগনারকে প্রথমবারের মতো খেলেছি, বুঝলাম কীভাবে খেলতে হয়। প্রথম টেস্টে খেলার অভিজ্ঞতা দ্বিতীয় টেস্টে কাজে লাগবে। আমি মৌলিক বিষয়ের ওপর থাকার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করব পরের ম্যাচে যেন আরও সেট হয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারি।’