ডাকসু নির্বাচনে প্রতিপক্ষ দুই খেলোয়াড় বন্ধু

বাস্কেটবল খেলোয়াড় খালেদ মাহমুদ আকাশ ও বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা। সংগৃহীত ছবি
বাস্কেটবল খেলোয়াড় খালেদ মাহমুদ আকাশ ও বক্সার সুর কৃষ্ণ চাকমা। সংগৃহীত ছবি
>আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন জাতীয় বাস্কেটবল দলের খেলোয়াড় খালেদ মাহমুদ আকাশ ও জাতীয় বক্সার সুরু কৃষ্ণ চাকমা।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) পড়াশোনা করার সময়ই একই রুমে থাকতেন খালেদ মাহমুদ আকাশ ও সুরকৃষ্ণ চাকমা। পরবর্তীতে আকাশ জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় বাস্কেটবল দলে। আর সুরকৃষ্ণ জাতীয় বক্সার। এবার দুই বন্ধু ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়তে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে। দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

অতীতে বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় ডাকসুতে ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন। বাদল রায়, সাঈদ হাসান কানন, ইমতিয়াজ সুলতান জনির মতো সাবেক তারকা ফুটবলাররা নির্বাচন করেছিলেন। তাদের তুলনায় খালেদ মাহমুদ ও সুরকৃষ্ণ তারকা না হলেও জাতীয় দলের খেলোয়াড়। আসছে ১১ মার্চের নির্বাচনে ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী আছেন এগারো জন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র খালেদ মাহমুদ থাকেন সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে। প্রায় সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার আকাশকে ক্যাম্পাসের সবচেয়ে লম্বা ছাত্র তিনি। বাস্কেটবল কোর্ট সাফল্যও আছে বেশ। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। নির্বাচনে জিতলে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে আশাবাদী, ‘লেখাপড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বাংলাদেশের রোল মডেল তেমনি খেলাধুলায়ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়াই হবে আমার মূল লক্ষ্য। খেলার মান উন্নয়নের জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। নারীদের জন্য নারী প্রশিক্ষকের ব্যবস্থা করা।’ স্বতন্ত্র জোট থেকে লড়বেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার বক্সার সুরকৃষ্ণ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র। নির্বাচিত হতে পারলে হলে হলগুলোতে খেলার সুপরিবেশ নিশ্চিত করতে চান জাতীয় এই বক্সার, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যেন ভালো খেলার পরিবেশ পায়, সেদিকে আমি নজর দিতে চাই। মাঠগুলো সংস্কার করার ব্যবস্থা করব। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রীড়া বিজ্ঞানের সংযোগ ঘটাতে চাই।’