জহুরুলের ব্যাটে বিকেএসপি সামলাল আবাহনী

জহুরুল ইসলাম। প্রথম আলো ফাইল ছবি
জহুরুল ইসলাম। প্রথম আলো ফাইল ছবি
>

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ফিরেই শুরুটা অসাধারণ হয়েছে বিকেএসপির। বিকেএসপির বিপক্ষে আবাহনী করতে পেরেছে ৯ উইকেটে ২১৬। ব্যাটিং বিপর্যয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন জহুরুল ইসলাম, অপরাজিত ছিলেন ১২১ রানে

আট বছর পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। প্রত্যাবর্তনের শুরুটাও কী দারুণ! মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ সকালে শক্তিশালী আবাহনীকে কাঁপিয়ে দিয়েছে বিকেএসপি। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া আবাহনীকে উদ্ধার করেছেন জহুরুল ইসলাম।

কুশল সিলভা, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন ও সাব্বির রহমান—আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই চার ক্রিকেটারকে বিকেএসপি ফিরিয়ে দিয়েছে ১৬ ওভারের মধ্যেই। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকা আবাহনীর মান রক্ষা করেছেন জহুরুল। ভীষণ চাপে কী লড়াকু ইনিংসটাই না খেললেন আবাহনী ওপেনার।

ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয় সামলেছেন। এক-দুইয়ের ওপর নির্ভর করে ধীরে ধীরে নিজের ইনিংস গড়েছেন, দলের স্কোরও এগিয়ে নিয়েছেন। ফিফটি করেছেন ৭৯ বলে। জহুরুল স্ট্রোক খেলতে শুরু করেছেন এরপরই। ১৩ চারের ৯টিই এসেছে ফিফটি করার পর। ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে আসতে লেগেছে ৫৩ বল। সেঞ্চুরি করেছেনও দারুণ এক স্কুপে। ইনিংসের শেষ ওভারে তিন বাউন্ডারি মারা জহুরুল অপরাজিত ১২১ রানে।

রৌদ্রোজ্জ্বল মিরপুরে জহুরুলের এই ঝলমলে ইনিংসটা খেলা কঠিনই ছিল যদি পাশে সাইফউদ্দিনকে না পেতেন। ৫৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পঞ্চম উইকেটে সাইফউদ্দিনের সঙ্গে জহুরুল গড়েছেন ১১২ রানের জুটি। ৫৫ রান করে সাইফউদ্দিনকে আউট হলে বাকি লড়াইটা জহুরুল একাই করেছেন।

১২১ রানে অপরাজিত থেকে যখন ফিরছিলেন, বিকেএসপির খেলোয়াড়েরা টুপি খুলে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন জহুরুলকে। বিকেএসপির খেলোয়াড়দের এটাও একটা শিক্ষা পর্ব, তাঁরা খুব কাছ থেকে দেখলেন কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে লড়তে হয়। জহুরুলের দুর্দান্ত ইনিংসের পরও বিকেএসপির বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে, তাঁরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে আটকে ফেলেছে ২১৬ রানেই। ৩৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বিকেএসপির সবচেয়ে সফল বোলার আবু নাসের। এখন ব্যাটসম্যানরা যদি চ্যালেঞ্জটা নিতে পারে, বিকেএসপির প্রত্যাবর্তন রূপকথার মতোই হবে।