আক্রমণভাগে সন্তুষ্টি, রক্ষণভাগে আস্থা, ভোগাতে পারে মাঝমাঠ

নমপেনে অনুশীলনে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে
নমপেনে অনুশীলনে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে
>প্রায় পাঁচ মাস পর আগামীকাল আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রিমিয়ার লিগে জাতীয় দলের ফুটবলারদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করা হলো।

কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল ২০১৯ সালের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রিমিয়ার লিগে বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স কেমন ছিল, সে অঙ্ক কষার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো। দেখা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এবারই প্রথম আক্রমণভাগের ওপর ভরসা নিয়ে দেশ ছাড়তে পেরেছেন জাতীয় দলের কোচ। রক্ষণভাগও দিচ্ছে আস্থা। তবে ভোগাতে পারে মাঝমাঠ!

গোলরক্ষক: তিন গোলরক্ষকের মধ্যে লিগে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের আশরাফুল রানা ও বসুন্ধরা কিংসের আনিসুর রহমান জিকো। ৯ ম্যাচে পুরো ৮১০ মিনিট খেলে মাত্র ৪ গোল হজম করেছেন রাসেলের আশরাফুল। তাঁর চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছেন বসুন্ধরার তরুণ গোলরক্ষক জিকো। ৯ ম্যাচে গোল হজম করেছে মাত্র তিনটি। অন্যদিকে সমানসংখ্যক ম্যাচে ৯ গোল হজম করেছেন আবাহনী লিমিটেডের গোলরক্ষক সোহেল। প্রথম দুজনের মধ্যে থেকে একজনের খেলার সম্ভাবনাই বেশি।

রক্ষণভাগ: রক্ষণভাগের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স ছিল শেখ রাসেলের সেন্টারব্যাক ইয়াসিন খানের। ৯ ম্যাচে রাসেলের মাত্র চার গোল হজম করার পেছনে ইয়াসিনের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাঁর সতীর্থ রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষও ছিলেন বেশ ধারাবাহিক। এ ছাড়া প্রথমবার জাতীয় দলে খেলতে যাওয়া শেখ জামালের তরুণ সেন্টারব্যাক মনজুরুর রহমান মানিকও আলো কেড়েছেন। তবে জাতীয় দলের মূল সেন্টারব্যাক তপু বর্মন নামের প্রতি হয়ে ছিলেন ছায়া। লেফটব্যাক সুশান্ত ত্রিপুরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত।

মাঝমাঠ: হঠাৎ ইনজুরিতে পড়ে দল থেকে ছিটকে পড়েছেন লিগের সেরা মিডফিল্ডার বসুন্ধরা কিংসের ইমন বাবু। তাঁর জায়গায় দলে আসা আবাহনী লিমিটেডের মিডফিল্ডার সোহেল রানা মাঠে ছিলেন অনিয়মিত। আগামীকাল সম্ভাব্য একাদশের তিন মিডফিল্ডারের অন্যতম জামাল ভূঁইয়ার পারফরম্যান্স গড়পড়তা। অন্য দুজনের একজন আবাহনীর আতিকুর রহমান ফাহাদও খুব বেশি আলো কেড়ে নিতে পারেননি। বাকি বসুন্ধরা কিংসের মাসুক মিয়া জনি ছিলেন ধারাবাহিক। কিন্তু প্রায় সমমানের কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয় বা মাঝমাঠ শাসন করার জন্য যে মানের একজন প্লেমেকার প্রয়োজন, সেদিকে আস্থা রাখা যাচ্ছে না কারও ওপরই। সব মিলিয়ে ভোগাতে পারে মাঝমাঠ।

আক্রমণভাগ: আবাহনী লিমিটেডের স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন ও বসুন্ধরা কিংসের মতিন মিয়া লিগে দুর্দান্ত খেলার অভিজ্ঞতা নিয়েই কম্বোডিয়ার বিমানে উঠেছে। সুবাদে দলের ফরোয়ার্ড লাইন আগের চেয়ে শক্তিশালী। নিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কল্যাণে এবার প্রথমবারের মতো মতিনের একাদশে খেলা কেবল সময়ের ব্যাপার। এ ছাড়া জীবনের পায়ে গোলের ফোয়ারা দেখে কোচ জেমি ডে গোলের নতুন আশা খুঁজছেন। আবাহনীর হয়ে এই ফরোয়ার্ড ৯ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল। সম্ভাব্য রাইট উইংয়ে খেলতে যাওয়া বিপলু আহমেদও লিগের অন্যতম সেরা পারফরমারের একজন। ফলে অনেক দিন বাদে লিগের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে আক্রমণভাগের ওপর রাখা যাচ্ছে ভরসা।