তামিমের খুব খারাপ লাগবে...

আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে তামিম। ছবি: বিসিবি
আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে তামিম। ছবি: বিসিবি
>

নিউজিল্যান্ডের দরকার ৭ উইকেট। ওয়েলিংটনের যে উইকেট আর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের যে পারফরম্যান্স, এ টেস্ট কোন দিকে যাচ্ছে অনুমান করা যাচ্ছে। তবু তামিম আশা দিচ্ছেন। বলছেন, কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়

ওয়েলিংটন টেস্ট জিততে হলে শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডের দরকার ৭ উইকেট। আর টেস্টটা ড্র করতে হলে বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হবে পুরো একটা দিন। ওয়েলিংটনের কঠিন উইকেটে পুরো একটা দিন টিকে থাকা কতটা কঠিন, তামিম ইকবালের সেটি ভালোই জানা। ভালো জানা বলেই বলছেন, কঠিন। এই টেস্ট বাংলাদেশের পক্ষে বাঁচানো কঠিন।

যদি আজ দিনটা ৯ উইকেট হাতে রেখেও শেষ করতে পারত বাংলাদেশ, তবুও তামিম জোর গলায় বলতে পারতেন, ওয়েলিংটন টেস্ট ড্র করা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু ৮০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর কোন সাহসে বলেন, কাল তারা বাঁচিয়ে ফেলবেন টেস্টটা। কাজটা কঠিন হলেও তামিম অবশ্য অসম্ভবও বলছেন না, ‘ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই সম্ভব, যেহেতু ৭ উইকেট আছে। রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ), লিটন আছে। কাল প্রথম সেশনে যদি উইকেট না হারাই বা বড় জোড় ১ উইকেট হারাই...এটা কঠিন তবে অসম্ভব নয়। আশা একটাই, ব্যাটিং করে যাওয়া। যদি আজ অন্তত ১টা উইকেট পড়ত তাহলে ড্র করার অবস্থায় থাকতাম। যেহেতু তিন উইকেট পড়ে গেছে, আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।’

শেষ দিনে এই উইকেটে ড্র করা কঠিন জেনেও বাংলাদেশ যদি হেরে যায়, ভীষণ মন খারাপ হবে তামিমের। বৃষ্টিতে প্রথম দুই দিন খেলা না হওয়ার পরও টেস্ট ড্র করতে পারবে না বাংলাদেশ, ভাবতে কষ্টই হচ্ছে বাঁহাতি ওপেনারের, ‘এখানে ব্যাটিং করা সহজ নয়। প্রথম ইনিংসে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। আমরা ভালো শুরু পেয়েছিলাম। তবে এ উইকেটে বোলারদের জন্য অনেক কিছু আছে। উইকেট সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে। (হারলে) খারাপ তো লাগবেই। লুকানোর কিছু নেই। প্রথম দুই দিন খেলা হয়নি, তিন দিনেই যদি ফল আমাদের বিপক্ষে যায়, অবশ্যই খারাপ লাগবে। যদি বলি, লাগবে না, ভুল বলা হবে।’

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ২১১ রানে। সেখানে নিউজিল্যান্ড ইনিংস ঘোষণা করেছে ৬ উইকেটে ৪৩২ রান করে। তামিম বলছেন, এই উইকেটে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা ভীষণ কঠিন। কিউইরা সেখানে রান উৎসব করল কীভাবে? তামিম বলছেন, আবু জায়েদের করা এক ওভারেই রস টেলরের ক্যাচ দুটি হাতছাড়া না ছবিটা অন্যরকম হতে পারত, ‘এক ওভারে এমনই একজনের ক্যাচ মিস করেছি, সে পরে ২০০ মেরে দিয়েছে। ওই সময় যদি ওকে আউট করতে পারতাম বা দ্রুত ২-৩ উইকেট ফেলে দিতাম হয়তো আজ আমাদের আরও কম সময় ব্যাটিং করতে হতো। ক্যাচ যে কেউ হাতছাড়া করতে পারে। যারা হাতছাড়া করেছে তাদের খারাপ লেগেছে। এটা খেলার অংশ।’

রস টেলরের ক্যাচ যখন হাতছাড়া হয়েছে, তখন তাঁর রান ছিল ২০। পরে তিনি থেমেছেন ২০০ করে। একটা ‘০’ বেড়েছে স্কোরের পাশে, সেটিই যে এতটা পার্থক্য গড়ে দেবে, দিন শেষে বাংলাদেশ সেটি বুঝেছে!