লজ্জায় স্প্যানিশ বলতে পারছেন না বেল!

বেল কি আদৌ রিয়ালে থাকবেন? ছবি : এএফপি
বেল কি আদৌ রিয়ালে থাকবেন? ছবি : এএফপি
>সতীর্থদের সঙ্গে মেলামেশা করেন না। একসঙ্গে দাওয়াতে যান না। একা একা গলফ খেলে কাটিয়ে দেন সময়। রিয়াল মাদ্রিদে বন্ধু বানানোর ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই। গ্যারেথ বেলকে নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। হয়তো রিয়ালে খাপ খাওয়াতে না পারার মাশুল হিসেবে ক্লাব ছাড়তে হতে পারে এই ওয়েলশ তারকাকে। এই যখন অবস্থা, তখনই সতীর্থের পাশে দাঁড়ালেন স্প্যানিশ রাইটব্যাক আলভারো ওদ্রিওজোলা।

গ্যারেথ বেল রিয়াল মাদ্রিদে এসেছেন প্রায় ৬ বছর হতে চলল। এত দিনেও ব্রিটিশ বেল স্প্যানিশ কেতা শিখে উঠতে পারেননি। সেটি শেখার কোনো তাগিদও নাকি তাঁর নেই। সতীর্থদের সঙ্গে সময় কাটান না, বন্ধু বানান না, এমনকি স্প্যানিশ ভাষাটাও ঠিকভাবে বলতে পারেন না — কতই না অভিযোগ বেলের নামে! কিন্তু সেসব অভিযোগ একেবারে অস্বীকার করে সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের রাইটব্যাক আলভারো ওদ্রিওজোলা।

বেলের দিকে ধেয়ে আসা সকল সমালোচনাকে একজন যোগ্য ডিফেন্ডার হিসেবে ‘ডিফেন্ড’ করেছেন ওদ্রিওজোলা, ‘বেলকে আমার খুব ভালো লাগে। সে সেল্টার বিপক্ষে ম্যাচটা বেশ ভালো খেলেছে। সে ভালো খেলার জন্য উদ্গ্রীব ছিল। অনেক খেটেছে সে। ওর গতি, ওর শক্তি, গোলের সামনে ওর গোল করতে চাওয়া — সবকিছুই মুগ্ধ করার মতো।’

বেল বেশ ভালোই স্প্যানিশ জানেন, কিন্তু বলতে লজ্জা পান। এমনটাই মনে করছেন ওদ্রিওজোলা, ‘আমি বেলের সঙ্গে স্প্যানিশ ও ইংরেজিতে কথা বলি। ক্লাবের প্রতি ওর আত্মনিবেদন দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। রিয়াল বলতে পাগল ছেলেটা। সে ক্লাবের জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত, অনেক কিছু সে দিয়েছেও ক্লাবকে। অসাধারণ একজন খেলোয়াড়।’

তখনকার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে টটেনহাম থেকে এসেছিলেন বেল। প্রত্যাশার ঘণ্টাটা ঠিকমতো বাজাতে পেরেছেন কি না, এ নিয়ে এখনো রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে পড়তে দেখা যায়। তবে একটা বিষয় নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই, যস্মিন দেশে যদাচার আপ্তবাক্যটা বেল মানেননি। মাদ্রিদে এসেও এখনো তিনি মাদ্রিদের মানুষ হয়ে উঠতে পারেননি। আর এ নিয়েই কিছু দিন আগে সতীর্থ থিবো কর্তোয়া রীতিমতো সমালোচনাই করেছিলেন বেলের।

রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান গোলরক্ষক কর্তোয়া এমনভাবে মাদ্রিদে বাস করেন, যেন তিনি মাদ্রিদেই জন্মেছেন, বেড়ে উঠেছেন। চেলসি থেকে ধারে অ্যাটলেটিকোর হয়ে খেলতে এসে এই শহরটাকে যে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। চেলসি আবার ডেকে পাঠানোর আগে তিন মৌসুম কাটিয়ে গেছেন। আবারও মাদ্রিদে ফিরেছেন, এবার রিয়ালের জার্সিতে। এর পেছনে অন্যতম অনুঘটক ছিল এই শহরের প্রতি তাঁর ভালোবাসা।

কিন্তু ৬ বছর এখানে থেকেও মাদ্রিদের সংস্কৃতির ছিটেফোঁটাও বেলের মধ্যে নেই দেখে অবাক কর্তোয়া। সম্প্রতি রিয়ালের খেলোয়াড়েরা এক নৈশভোজে মিলিত হয়েছিলেন। সবাই সেই অনুষ্ঠানে এসে হাজির হলেও বেল ও টনি ক্রুস আসেননি। মাদ্রিদের লোকেরা দেরিতে রাতের খাবার খেয়ে দেরিতে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত। রাত ১১টায় মাদ্রিদে রাতের খাবারের সময়টা আবার বেলের ঘুমিয়ে পড়ার সময়।

শুধু কর্তোয়াই নয়, বেল স্প্যানিশ পারেন না এই নিয়ে কিছু দিন আগে আরেক সতীর্থ মার্সেলোও তাঁর সঙ্গে মজা করেছেন।