রক্তাক্ত চুম্বন! চলছে বিতর্কের ঝড়

সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় রাভালো ও পুলেভ। ছবি: টুইটার
সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় রাভালো ও পুলেভ। ছবি: টুইটার
>সংবাদকর্মীকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার মাঝে আচমকা চুমু খেয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন বুলগেরিয়ার হেভিওয়েট বক্সার কুবরাত পুলেভ

জেনিফার রাভালো ভেগাস স্পোর্টস ডেইলির প্রতিবেদক। কাল যুক্তরাষ্ট্রে হেভিওয়েট বক্সিং লড়াইয়ে জয়ী কুবরাত পুলেভের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন রাভালো। কথা বলার একপর্যায়ে আচমকাই রাভালোকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান পুলেভ। বিষয়টি ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আর এই বিতর্ক এককাঠি উসকে দিয়েছেন বক্সিং-ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলেভ-রাভালোর ভুয়া অন্তরঙ্গ ছবি ছেড়েছেন তাঁরা। এ জন্য বক্সিং-ভক্তদের ‘লজ্জা হওয়া উচিত’—এমন মন্তব্যই করেছেন ডাবল অলিম্পিক ও সুপার মিডলওয়েট চ্যাম্পিয়ন ক্লারেসা শিল্ডস।

রাভালো অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা ভালো চোখে দেখছেন না। এটি ছিল ‘জঘন্য এবং অপমানজনক’ মন্তব্য করেছেন এই সংবাদকর্মী। তাঁর আইনজীবী গ্লোরিয়া অলরেড বলেছেন, ‘বিষয়টি অপমানজনক, বেআইনি ও অসস্তিকর।’ ইতিমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য অ্যাথলেটিক কমিশনের সামনে হাজির দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৩৭ বছর বয়সী মুষ্টিযোদ্ধা পুলেভকে। ক্যালিফোর্নিয়া বক্সিংয়ের প্রধান তাঁর বক্সিংয়ের লাইসেন্সও বাতিল করেছেন। যদিও পুলেভের দাবি, রাভালো এবং তাঁর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু রাভালোর দাবি, পুলেভের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ম্যাচের এক দিন আগে।

আইনজীবীর সঙ্গে জেনিফার রাভালো। ছবি: টুইটার
আইনজীবীর সঙ্গে জেনিফার রাভালো। ছবি: টুইটার

রোমানিয়ার মুষ্টিযোদ্ধা বোগদান দিনুকে হারান পুলেভ। এরপর রক্তাক্ত মুখে রাভালোকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ফাঁকে এই কাণ্ড ঘটান তিনি। রাভালোর দাবি, পুলেভ তাঁর ‘শরীরের পেছনের অংশেও হাত দিয়েছেন এবং দুহাত দিয়ে চেপে ধরেছেন।’ রাভালোর এই অভিযোগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বিপক্ষে হামলে পড়েন বক্সিং-ভক্তরা। তাঁর সমালোচনা করে ছাড়া হয়েছে ভুয়া ছবি, যেখানে রাভালোকে দেখলে মনে হবে পুলেভ তাঁর পূর্বপরিচিত এবং দুজনের সম্পর্কও বেশ অন্তরঙ্গ।

ভক্তদের এই আচরণে ভীষণ খেপেছেন মার্কিন নারী মুষ্টিযোদ্ধা ক্লারেসা শিল্ডস। ২৪ বছর বয়সী এই আইবিএফ, ডব্লিউবিএ চ্যাম্পিয়ন বলেন, ‘বক্সিং-ভক্তরা বলছেন, সে (রাভালো) এটি পছন্দ করেছে কিংবা টাকার জন্য করেছে—ইত্যাদি। এসব কথার জন্য তাঁদের লজ্জা হওয়া উচিত। আমি বলছি না পুলেভকে জেলে পাঠাতে হবে। তাঁকে অন্তত ক্ষমা চাইতে হবে এবং বুঝতে হবে যে কাজটি সে করেছে তা ভুল ছিল।’