তিন অধিনায়কের যুগে আফগানিস্তান

নাইবের কাঁধে এখন আফগান-ভার। ছবি : টুইটার
নাইবের কাঁধে এখন আফগান-ভার। ছবি : টুইটার
তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করল আফগানিস্তান। নির্দিষ্ট একজন অধিনায়কের ওপর যেন সব সংস্করণের চাপ না পড়ে, সে কারণে প্রতি সংস্করণের জন্য আলাদা আলাদা অধিনায়ক নির্বাচিত করেছে তাঁরা। ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির জন্য অধিনায়ক হয়েছেন যথাক্রমে গুলবদিন নাইব, রহমত শাহ ও রশিদ খান। ফলে কপাল পুড়ল অলরাউন্ডার আসগর আফগানের। এর আগে তিন সংস্করণে তিনিই ছিলেন আফগান অধিনায়ক।


অধিনায়কের পাশাপাশি সহ-অধিনায়কত্বেও দলবদল এনেছে দলটি। এবং এখানেও রয়েছে চমক। এখানেও তিন সংস্করণের জন্য আলাদা আলাদা তিনজন সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত করেছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড। ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির জন্য সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত করা রয়েছে যথাক্রমে রশিদ খান, হাশমতউল্লাহ শহীদী ও শফিকউল্লাহ শফিককে।

গুলবদিন নাইবের নেতৃত্বেই এখন বিশ্বকাপ খেলবে আফগানিস্তান। বলে রাখা ভালো, নতুন তিন অধিনায়কের মধ্যে শুধুমাত্র রশিদ খানেরই আগে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। এর আগে আফগানিস্তানকে তিনটি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার।

২০১১ সালে কানাডার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় নাইবের। মূলত ডানহাতি পেস বোলার হলেও ব্যাট চালাতে পারেন বেশ। আফগানিস্তানের জার্সি গায়ে ৫২ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৮০৭ রান করেছেন তিনি। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন পাঁচবার। বল হাতে উইকেট পেয়েছেন ৪০টি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে বল হাতে বেশ কার্যকরী ছিলেন তিনি।

২০১৫ সালে আফগানিস্তানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আসগর আফগান। তাঁর অধীনে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। তাঁর অধীনে ওয়ানডেতে ৩১ বার জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। ৪৬টি টি-টোয়েন্টির মধ্যে জিতেছে ৩৭ ম্যাচে।

নতুন অধিনায়কত্বের অধীনে আফগানিস্তান বিশ্বকাপে কি চমক দেখায়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।