তাই বলে কোহলি এতটা খারাপ!

অধিনায়ক কোহলির হতাশা! ছবি: এএফপি
অধিনায়ক কোহলির হতাশা! ছবি: এএফপি
>আজ আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১৫০ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ৩৩ বলে ৪১ রান করেছেন বিরাট কোহলি। ১৮ বলে ৩২ মঈন আলীর। বেঙ্গালুরু ১ রানে দিল্লির ১ উইকেট তুলেও নিয়েছে। আজ কি তবে কোহলির দিন? না হলে কিন্তু বিপদ!

কী এমন পাপ করেছি! বিরাট কোহলি এই প্রশ্ন করতেই পারেন। আইপিএলে যেন অভিশাপগ্রস্ত এক অধিনায়ক তিনি। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে কী অবিশ্বাস্য সব কীর্তি গড়লেন এই তো কদিন আগেও, অস্ট্রেলিয়া সফরে। এশিয়ার একমাত্র অধিনায়ক, যাঁর ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট জেতার কীর্তি আছে। ইমরান-কপিলরাও যা পারেননি। সেই কোহলি ডাব্বা মেরে যাচ্ছেন আইপিএলে।

এবার অতীতের ব্যর্থ প্রাণের সব আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলবেন বলেই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর অধিনায়ক কোহলি মুখ কোথায় লুকোবেন! আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু খেলছে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। এই ম্যাচ হারলে আইপিএলের শুরুতেই প্রায় বাদ নিশ্চিত হয়ে যাবে কোহলির বেঙ্গালুরুর!

এমন নয়, আইপিএলে ব্যাটসম্যান কোহলির রেকর্ড খারাপ। গত ম্যাচেই সুরেশ রায়নাকে টপকে আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়েছে। আর সেই মুকুট অর্জনের দিনে তাতে কলঙ্কের তিলকও লেগেছে। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হেরে যাওয়া দলে খেলা খেলোয়াড়ও এখন কোহলি। আজকের আগপর্যন্ত ৮৬টা ম্যাচ হেরেছেন। এর ৫২টাই অধিনায়কের ভূমিকায়! নামটা কোহলি বলেই সত্যি জেনেও রেকর্ডটা বিশ্বাস করতে মন চায় না। অস্ফুট এক বিস্ময় বের হয়ে আসে—তাই বলে কোহলি এত খারাপ!

কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে বেঙ্গালুরু–সমর্থকেরা নাখোশ। নানা সময়েই তারা প্রশ্ন তুলছে। কোহলিকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ঠাট্টার বানও ডাকছে। ট্রল, মিমে সয়লাব। আরসিবি–সমর্থকেরা আর কত ধৈর্য ধরবে? সব সময়ই বড় বাজেটের দল গড়ে ব্যর্থ। ২০১৩ সাল থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া কোহলি একবার দলকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কোহলির নেতৃত্বের আগে বেঙ্গালুরু আরও দুবার ফাইনাল খেলেছিল। সর্বোচ্চ তিনবার ফাইনালে উঠে শিরোপা না জেতার রেকর্ডটাও বেঙ্গালুরুর।

অধিনায়ক কোহলির ৫২ পরাজয়ের ৫০টি নিয়মিত হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর। এর মধ্যে অধিনায়ক কোহলির সেরা সময় এসেছিল ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। ২০১৫ সালে প্লে অফ পর্যন্ত গেলেও আর ফাইনালে ওঠা হয়নি, তৃতীয় হয়ে সান্ত্বনা খুঁজতে হয়েছিল। পরের বছর কোহলি দলকে ফাইনালেই নিয়ে গেলেন। তবে এবার শিরোপা ফসকে গেল মাত্র ৮ রানে হেরে। মোস্তাফিজের বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সেই আসরে যে শিরোপা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে বাঁধাই ছিল।

এরপর থেকে কোহলির দল কেবলই পথ হারিয়েছে। ২০১৭ সালে মাত্র ৩ ম্যাচ জিতে শেষের দিক থেকে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন কোহলিরা। গত বছরও মনে হচ্ছিল একই পরিণতি বরণ করে নিতে হবে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আট দলের মধ্যে কোহলিরা হয়েছেন ষষ্ঠ।


২০১৩ সাল থেকে কোহলির নেতৃত্বে বেঙ্গালুরু

সাল

ম্যাচ

জয়

হার

পরিত্যক্ত

২০১৯

২০১৮

১৪

২০১৭

১৪

১০

২০১৬

১৪

২০১৫

১৪

২০১৪

১৪

২০১৩

১৬

 

৯১

৩৮

৫০