সুয়ারেজ থেকে শেখো, হিগুয়েইন

চেলসিতে এসেও ভাগ্য ফেরেনি হিগুয়েইনের। ছবি: টুইটার
চেলসিতে এসেও ভাগ্য ফেরেনি হিগুয়েইনের। ছবি: টুইটার

মরিসিও সারির ইচ্ছা পূরণ করেছে চেলসি। ত্রিপক্ষীয় (জুভেন্টাস-এসি মিলান-চেলসি) দলবদল করে গঞ্জালো হিগুয়েইনকে আনা হয়েছে স্টামফোর্ড ব্রিজে। কিন্তু গুরুর আশা পূরণ এখনো করতে পারেননি হিগুয়েইন। চেলসির হয়ে আট ম্যাচে মাত্র ৩ গোল। সেগুলোও অবনমনের তালিকায় থাকা দুই দলের বিপক্ষে। নিজের স্ট্রাইকারের এমন ব্যর্থতার পরও আস্থা হারাচ্ছেন না সারি। হিগুয়েইনকে বলছেন লুইস সুয়ারেজের কাছ থেকে শিখতে।

সুয়ারেজের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতেই পারেন হিগুয়েইন। এ মৌসুমে পরিচিত সত্যিকারের ‘নাম্বার নাইন’দের মধ্যে ফর্মে আছেন শুধু সুয়ারেজ ও সার্জিও আগুয়েরো। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে শনিবার রাতেই বার্সেলোনাকে দুর্দান্ত এক গোলে জয় এনে দিয়েছেন সুয়ারেজ। মেসির অনুপস্থিতিতে রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দিয়েছেন মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোতে। লিগে এর মধ্যেই ২০ গোল হয়ে গেছে। অবশ্য সারি বার্সেলোনার সুয়ারেজ নয়; হিগুয়েইনকে অনুপ্রেরণা খুঁজতে বলছেন লিভারপুলের সুয়ারেজের কাছ থেকে।

সারির প্রথম পছন্দ হয়েও একাদশে জায়গা হারাতে বসেছেন হিগুয়েইন। কার্ডিফ সিটির বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে গোল পাননি হিগুয়েইন, একপর্যায়ে তাঁকে তুলেই নেওয়া হয়েছে। ব্রাইটনের বিপক্ষে মূল একাদশেই জায়গা হয়নি। তাঁর বদলে সুযোগ পেয়ে ঠিকই গোল করেছেন অলিভিয়ের জিরু। সামনে কঠিন সময়। হিগুয়েইনের করণীয় কী? সেটিও বলে দিচ্ছেন কোচ, সুয়ারেজের কাছ থেকে শেখো!

ইংল্যান্ডে খেলতে এসে প্রথম প্রথম ফর্ম খুঁজে পাননি সুয়ারেজও। কিন্তু সে ধাক্কা ঠিকই সামলে নিয়ে নিজে গোলমেশিন হিসেবে পরিচিত করিয়েছিলেন। এরপরই না বার্সেলোনার নজর পড়ল তাঁর ওপর। ইংল্যান্ডে এসে মানিয়ে নেওয়া আসলেই কঠিন। এলেম দেখলেম জয় করলেম—এত সহজ নয়।

সারি বলেছেন, ‘ওকে শারীরিক ও মানসিকভাবে উন্নত হতে হবে যাতে মৌসুমের শেষভাগে দলের প্রয়োজনে তাঁকে পাওয়া যায়। প্রথম কয়েক মাসে প্রিমিয়ার লিগে খেলা সহজ নয়। লিভারপুলের হয়ে সুয়ারেজেরও প্রথম মৌসুম কঠিন কেটেছে, কিন্তু দ্বিতীয় মৌসুমে সে ২৩ গোল করেছে। শুরুতেই ভালো খেলা একজন স্ট্রাইকারের জন্য কঠিন। আমার ধারণা, ওর (হিগুয়েইন) একটু সময় লাগবে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে মানিয়ে নিতে। তবে আমি নিশ্চিত, সে পারবে।’

আয়াক্স থেকে লিভারপুলে এসে প্রথম দেড় মৌসুমে ৪৪ লিগ ম্যাচে মাত্র ১৫ গোল করেছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু পরের দুই মৌসুমেই নিজের জাত চিনিয়েছেন। ৬৬ ম্যাচে করেছেন ৫৪ গোল। এর মধ্যে দ্বিতীয় মৌসুমে ৩৩ ম্যাচেই ছিল ৩১ গোল! হিগুয়েইন তাই আশা করতেই পারেন ভবিষ্যৎ নিয়ে। তবে মাত্র ২৩ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে এসেছিলেন সুয়ারেজ, মানিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় ছিল। কিন্তু ৩১ বছর পেরিয়ে যাওয়া হিগুয়েইনের হাতে যে অত সময় নেই!