অশ্বিনকে প্রশ্ন করেছিলেন, এটা কি ঠিক হলো?

আউট হওয়ার পর অশ্বিনের দিকে বাক্যবাণ ছুড়েছিলেন বাটলার। ফাইল ছবি
আউট হওয়ার পর অশ্বিনের দিকে বাক্যবাণ ছুড়েছিলেন বাটলার। ফাইল ছবি

২৫ মার্চ খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। তবে একের পর এক জমজমাট ম্যাচে আড়ালে চলে গেছে বাটলার-অশ্বিনের সেই বহুল আলোচিত মানকাড আউটের ঘটনা। ক্রিকেটাররা অবশ্য মাঝেমধ্যেই তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। গতকাল অশ্বিনের বোলিংয়ের সময় ডেভিড ওয়ার্নার তো রীতিমতো মজাই নিলেন। ক্রিজের আরও অর্ধেক ভেতরে ব্যাট ঢুকিয়ে এমন ভাব করলেন, পারলে মানকাডিং করে দেখাও বাপু! এই ঘটনায় অনেকে মজাও পেয়েছেন। কিন্তু জস বাটলার এখনো বিষয়টি নিয়ে মজা করার মতো অবস্থায় যেতে পারেননি মনে হচ্ছে। তাঁর রাগ যে কমছেই না।

রাজস্থান রয়্যালসের এই মারকুটে ব্যাটসম্যান গতকাল গিয়েছিলেন টাইমস অব ইন্ডিয়ার জয়পুর অফিসে। এক দিনের জন্য অতিথি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে। বাটলার অবশ্য শেষ পর্যন্ত সম্পাদকের ভূমিকায় থেকেও সাক্ষাৎকার নেওয়ার বদলে দিয়েই এলেন। সেখানেই অশ্বিনের মানকাড আউট নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।

ইংলিশ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জানালেন, ‘আমি খুব হতাশ হয়েছিলাম। ক্রিকেটে এটা খুব বেশি ঘটে না, কিন্তু যখন ঘটে খুবই হতাশ লাগে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এর আগেও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু না হয়, সেটা নিশ্চিত করব।’

আইপিএলে মানকাডিংয়ের এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়েননি বাটলার। ক্রিজে দাঁড়িয়ে অশ্বিনকে দু-পাঁচ কথা শুনিয়ে তবে এসেছেন। তাঁর আগ্রাসী ভঙ্গি দেখে অশ্বিন যেন আবার খোলসের মধ্যে ঢুকে যান। পাল্টা কিছু বলেননি। অশ্বিনকে তখন কী বলেছিলেন সেটিও জানিয়েছেন বাটলার, ‘আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সে আসলেই এভাবে খেলতে চায় কি না। ওর কি মনে হয় এটা সঠিক কাজ হচ্ছে? তখন তো মনে হয়েছে সে এটাকে সঠিক বলেই মনে করে।’

এ ঘটনায় অশ্বিনের সৌজন্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কি না, সে প্রশ্নও করা হয়েছিল বাটলারকে। এ ব্যাপারে একটু কূটনৈতিক হয়েছেন বাটলার, ‘আমি জানি না। এটা বলার অবস্থানে আমি নেই। অশ্বিন আমাকে আউট করার আগে থেমেছিল, সেটা আমি দেখেছি (ভিডিওতে)। কিন্তু এসবই অতীত এবং আমি সেটা ভুলে গেছি।’