নিষিদ্ধ হয়েও এত কথা!

লিভারপুলকে হারাতে চান পেপে। ছবি: এএফপি
লিভারপুলকে হারাতে চান পেপে। ছবি: এএফপি

চ্যাম্পিয়নস লিগে এফসি পোর্তো নামটা খুব একটা বড় নয়। হোসে মরিনহোর হাত ধরে সেই কবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল পর্তুগিজ দলটি। এরপর থেকেই ঘরোয়া লিগে নিয়মিত সাফল্য পেলেও ইউরোপে এসেই হোঁচট খায় পোর্তো। তবে ধীরে ধীরে আবার ইউরোপে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে তারা। গত মৌসুমে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে গেলেও এবার উঠে এসেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। দলে আগে থেকেই ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা ইকার ক্যাসিয়াস। এ জানুয়ারিতেই বেসিকতাস থেকে এসেছেন রিয়ালের হয়েই তিনবার শিরোপা জেতা পেপে। পর্তুগিজ ডিফেন্ডার এসেই হুংকার ছেড়েছেন, পোর্তোকে সঙ্গে নিয়েই নিজের চতুর্থ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে চান।

পোর্তোর রক্ষণভাগ এখন যেন এক টুকরো রিয়াল মাদ্রিদ। ১৬ বছর রিয়ালের গোলবার সামলানো ক্যাসিয়াস এখন পোর্তোয়। বেসিকতাস ঘুরে পোর্তোয় এসেছেন ১০ বছর রিয়ালের রক্ষণ সামলানো পেপে। আবার দলের মূল ভরসায় পরিণত হওয়া এডের মিলিতাওকেও কিনে নিয়েছে রিয়াল। সব মিলিয়ে পোর্তোর রক্ষণকে ছোটখাটো রিয়াল মাদ্রিদ বললেও ভুল হবে না। ৮ বছর একসঙ্গে রক্ষণ সামলানো পেপে-ক্যাসিয়াস এই মৌসুমে যেন অপ্রতিরোধ্য। ১০ ম্যাচ জুটি করে খেলে ৫টিতেই রেখেছেন ক্লিন শিট। গোল হজম করেছেন মাত্র ৭টি।

আজ লিভারপুলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে নামবে পোর্তো। গতবার এই লিভারপুলের বিপক্ষে উড়ে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু সে ম্যাচে মাঠে ছিলেন ক্যাসিয়াস। পেপে-মিলিতাও তো দলেই ছিলেন না। এ কারণেই হয়তো লিভারপুলের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী শোনাচ্ছে পেপেকে, ‘আমি এর আগেও তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছি। এই মৌসুমে সেটা চারে গিয়ে দাঁড়াবে। যদিও এটা খুবই কঠিন হবে, কারণ লিভারপুল অসাধারণ একটা দল। ক্লপের অধীনে এই মৌসুমে অসাধারণ ফর্মে আছে তারা। তবে আমরাও মৌসুমের অনেকটা সময় ধরে একসঙ্গে খেলছি। জেতার জন্য আমরা সবকিছু করতে রাজি।’

পেপের জীবনের অনেকটা অংশজুড়ে রয়েছে পোর্তো। রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগে পোর্তোতেই খেলেছেন ২ মৌসুম। প্রায় ১২ বছর পর ফেরা পেপের কাছে পোর্তো সব সময়—‘এখানে ফেরা আমার জন্য একটা স্বপ্নের মতো। এই দল আমাকে আসল পেপে বানিয়েছে। ছোট্ট একটা দ্বীপ থেকে ওঠে ইউরোপে এসেছিলাম, আমাকে দ্রুত মানিয়ে নিয়তে হয়েছিল।’

এত কথা বলেও অবশ্য তেমন কোনো লাভ হচ্ছে না পেপের। কারণ, প্রথম লেগেই তাঁকে বসে থাকতে হচ্ছে মাঠের বাইরে। হলুদ কার্ডের কোটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় প্রথম লেগে তাঁকে পাবে না পোর্তো। শুধু পেপে নন, পোর্তো অধিনায়ক হেক্টর হেরেরাকেও একই কারণে থাকতে হবে মাঠের বাইরে। অ্যানফিল্ডে আজ প্রধান দুই সেনানী ছাড়াই লড়তে হবে পোর্তোকে।