অপেক্ষা বাড়ল জুভেন্টাসের

কিনের গোলও জয় এনে দিতে পারেনি জুভেন্টাসকে। ছবি: এএফপি
কিনের গোলও জয় এনে দিতে পারেনি জুভেন্টাসকে। ছবি: এএফপি
>

মাত্র একটি পয়েন্টের অপেক্ষা ছিল জুভেন্টাস–সমর্থকদের। স্প্যালের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পেলেই টানা অষ্টমবারের মতো লিগ শিরোপা পেয়ে যেত তারা। কিন্তু ম্যাচটায় শেষ পর্যন্ত হেরেই বসল জুভেন্টাস। কী আর করা, এখন অপেক্ষা করতেই হচ্ছে সবাইকে।

সিরি ‘আ’ নামটা বদলে ‘জুভেন্টাস লিগ’ রেখে দিলেই তো হয়। গত সাত বছরে জুভেন্টাস যেন পুরোপুরি মালিকানা কিনে নিয়ে নিয়েছে এই লিগের। ২০১০-১১ মৌসুমে শেষবারের মতো ইতালীয় লিগ জিতেছিল এসি মিলান। কিন্তু এরপর আর কেউই জুভেন্টাসকে টপকে লিগ জিততে পারেনি। এ মৌসুমে টানা অষ্টমবারের মতো লিগ শিরোপা জেতাটা জুভেন্টাসের জন্য সময়েরই ব্যাপার। কালই সেটি নিশ্চিত হয়ে যেতে পারত। মাত্র একটি পয়েন্ট পেলেও হতো। কিন্তু জুভেন্টাসের মতো দল যে স্প্যালের কাছে হেরে বসবে, সেটা আর কে ভেবেছিল। ফলে অপেক্ষাটা একটু বাড়ল জুভেন্টাস–সমর্থকদের।
স্প্যাল খুব বড় প্রতিপক্ষ ছিল না। তাই কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি একাদশে রেখেছিলেন কেবল পাওলো দিবালা আর বারজাগলিকে। শুরুতে এগিয়েও গিয়েছিল জুভেন্টাস। কিছুদিন আগে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়া ময়েস কিন এগিয়ে নেন জুভেন্টাসকে। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে গোল করলেন ১৯ বছর বয়সী তরুণ তারকা। তাঁর আগে এই রেকর্ড ছিল ইন্টার মিলানে খেলা মারিও বালোতেল্লির। সে রেকর্ড এখন ময়েস কিনের।
অবনমনের শঙ্কায় দুলতে থাকা স্প্যাল ছিল জয়ের জন্য মরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্নরূপে ফেরে তারা। ৪৯ মিনিটে কেভিন বোনিফ্যাজি ও ৭৪ মিনিটে সার্জিও ফ্লোক্কারির গোলে এগিয়ে যায় স্প্যাল। জুভেন্টাস আর ফিরতে পারেনি ম্যাচে। হার নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয় তাদের।

এই জয়ে অবনমনের শঙ্কা থেকে অনেকটাই বেড়িয়ে এসেছে স্প্যাল। এক জয়ে ১৬ থেকে ১৩ নম্বর অবস্থানে উঠে এসেছে তারা। তবে জুভেন্টাসের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে নাপোলির ব্যবধান এখনো ২০ পয়েন্ট। শিরোপা উৎসবটা আজ না হলেও আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তা হয়ে যাবে—এটা প্রায় নিশ্চিতই।