ভারতের বিশ্বকাপ দল নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই

ভারত দলের চারে নামবেন কে? ফাইল ছবি
ভারত দলের চারে নামবেন কে? ফাইল ছবি

ভারত বিশ্বকাপ দল দিয়েছে চার দিন হলো। সে দল নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে। অধিকাংশ আলোচনা থিতু হয়ে এলেও, দল নিয়ে মূল সমস্যার কথা আড়াল করতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের চারের উত্তর যে নেই ১৫ সদস্যের দলে। বিশ্বকাপের দল নিয়ে তাই একটা বাজিই খেলছেন ভারতের নির্বাচকেরা।

ভারতীয় দলে প্রথম তিনটি স্থান নিশ্চিত। রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। পাঁচ ও ছয়ে থাকবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কেদার যাদব। সাতে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তাই ব্যাটিং লাইনআপে শুধু চারেই শূন্যস্থান রয়েছে। আর সে কাজটা করতে হবে কেএল রাহুল, দিনেশ কার্তিক ও বিজয় শংকরের যেকোনো একজনকে। দুই মাস আগেও এঁদের কেউ ভাবতে পারেননি, কিন্তু বিশ্বকাপে ভারত দলে চার নম্বরে নামতে হবে তাঁদের।

এটা কোনো গোপন তথ্য নয়, চারে নেমে তিনজনের কারওরই ভালো করার নজির নেই। এটা এমন এক অবস্থান, যেখানে ইনিংস গড়ার ক্ষমতা থাকতে হয় আবার সময় এলে ঝড়ও তুলতে হয়। ওপেনিংয়ে স্বচ্ছন্দ রাহুলকে এ পজিশনে মানিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা হয়তো ছিল ভারতের। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আচমকা ক্রিকেট বহির্ভূত কারণে নিষিদ্ধ হয়ে আর চারে নামা হয়নি রাহুলের। কার্তিকও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে যে ম্যাচগুলোতে খেলেছেন সেখানে ছয় ও পাঁচে নেমেছেন। বিজয়ও পাঁচ, ছয় বা সাতেই নেমেছেন, কখনো চারে নন। ফলে বিশ্বকাপের ভারত দলে চারে এমন একজন থাকবেন যে কখনো এ পজিশনে নামেননি।

চারের জন্য গত দুই বছর ধরে আম্বাতি রাইড়ুকে তৈরি করেছে ভারত। দলের অন্যদের তুলনায় পারফরম্যান্স বেশ ভালোই তাঁর। কিন্তু ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি রাইড়ুর। সাবেক নির্বাচক কমিটির প্রধান কিরণ মোরের বিস্ময় তাই স্বাভাবিক, ‘এত দিন বিশ্বাস রেখে এবং ওই পজিশনে অভ্যস্ত করিয়ে রাইড়ুকে বাদ দিয়ে ভারতের মিডল অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আমরা এখনো নিশ্চিত নই গুরুত্বপূর্ণ ওই জায়গায় ভারতের সেরা কে। আমাদের এ ক্ষেত্রে আরও ভালো অবস্থানে থাকা উচিত ছিল।’

১৯৮৭ ও ৯২ বিশ্বকাপের উইকেটরক্ষকের চোখে রাহুলকে চার নয় বিকল্প ওপেনার হিসেবেই দেখা উচিত। আর সে ক্ষেত্রে তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দও জানিয়ে দিয়েছেন মোরে, ‘আমি কার্তিকের পক্ষেই যাব, কারণ সে অনেক দিন ধরে খেলছে। আর কার্তিকের ভারতের হয়ে ম্যাচ জেতা ও খেলা শেষ করে আসার অভিজ্ঞতা আছে। বিজয় মাত্র কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে। এ দায়িত্ব বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ এক পজিশনে নামা (অনভিজ্ঞ একজনের জন্য কঠিন)।’

বিশ্বকাপের দলে এমন অনিশ্চয়তা নিশ্চিত করছে, ভারত দল এ নিয়ে ‘দেখা যাক’ নীতি নিয়েছে। আদর্শ কোনো উপায় নয়, বিশ্বকাপ নিয়ে বাজি ধরতে চাইছে নির্বাচকেরাই।