অশ্বিনের মানকাড নিয়ে রসিকতা স্টেইনের

অশ্বিনকে নিয়ে রসিকতায় মেতেছেন স্টেইন। ফাইল ছবি
অশ্বিনকে নিয়ে রসিকতায় মেতেছেন স্টেইন। ফাইল ছবি

আইপিএলে এবার সর্বদা আলোচনায় আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। জস বাটলারকে মানকাড আউট করে সেই যে আলোচনায় এলেন, আর বেরোতেই পারছেন না। বাটলার এর মাঝে আইপিএলে ছেড়ে ইংল্যান্ডে ফিরেছেন। কিন্তু অশ্বিনের তো সে সুযোগ নেই, তাই আলোচনা থেকেও মুক্তি মিলছে না। এবার আলোচনায় আসার পেছনে অবশ্য তাঁর নয়, ডেল স্টেইনের অবদানই বেশি। অশ্বিনকে নিয়ে রসিকতায় মেতেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার।

নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান লাইন থেকে বের হয়ে গেলেই তাদের আউট করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন অশ্বিন। মানকাডিং নিয়ে এতটাই বিখ্যাত হয়েছেন যে তাঁর অফ স্পিনিং ক্ষমতাও অনেকে ভুলে যাচ্ছেন। তবে ক্রিকেটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ভোলেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষক ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের পারফরম্যান্স ম্যানেজার প্রসন্ন টুইটারে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘একটা আইপিএল দলের বোলিং লাইনআপে যদি জফরা আর্চার, জসপ্রীত বুমরা, কাগিসো রাবাদা, ইমরান তাহির ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন থাকে, তাহলে কেমন হতো?’

আইপিএলে নজরকাড়া পাঁচ বোলারকে নিয়ে করা এ প্রশ্ন ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা স্টেইন পুরো ব্যাপারটিতে ভিন্ন রূপ এনে দিয়েছেন। প্রসন্নের প্রশ্নের উত্তরে লিখেছেন, ‘বুমরা—বোল্ড করবে, রাবাদা—ক্যাচ আউট করবে, তাহির—এলবিডব্লু করবে, অশ্বিন-মানকাড করবে। প্রসন্ন, সব দিকই ভেবে ফেলছো!’

স্টেইনের এমন উত্তরে ভক্তরা অনেক মজা পেয়েছেন। কারণ অশ্বিনের ওই কাণ্ডের পর ব্যাটসম্যানরা তাঁর বোলিংয়ে ক্রিজের ভেতরে পারলে বসেই থাকেন। ডেভিড ওয়ার্নারকে ভিন্ন বোলারের জন্য এক ভঙ্গি ও অশ্বিনের জন্য এক ভঙ্গিতে দাঁড়াতে দেখা গেছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ক্রিজের বেশ ভেতরে থাকার পরও শিখর ধাওয়ানকে মানকাড করানোর ভয় দেখিয়েছিলেন অশ্বিন। এ নিয়ে মাঠেই একটু নেচে অশ্বিনকে নিয়ে মজা করেছেন ধাওয়ান।

মানকাড প্রসঙ্গে স্টেইনের পক্ষেই তাই কথা বলেছেন অধিকাংশ ভক্ত। একজন তো অশ্বিনকে চতুর্মাত্রিক খেলোয়াড়ই বলেছেন। বিশ্বকাপ উপলক্ষে সব দল ত্রিমাত্রিক খেলোয়াড় নিয়ে মেতেছে (ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং)। মানকাডিংকে অশ্বিনের বাড়তি ক্ষমতা বলে দাবি করেছেন এক সমর্থক, ‘অশ্বিনকে কারও বলা দরকার সে বল করেও উইকেট পেতে পারে। সে ইদানীং স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান নয়, নন স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান নিয়েই বেশি আগ্রহী। আমার মতে এটা চতুর্মাত্রিক ক্রিকেট!’