টেন্ডুলকারকে টেন্ডুলকার - জীবনে কোনো শর্টকাট নেই

শচীন টেন্ডুলকার ও তাঁর ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ফাইল ছবি
শচীন টেন্ডুলকার ও তাঁর ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ফাইল ছবি

শৈশবে বাবার দেওয়া এক উপদেশ কীভাবে নিজের জীবনের পথরেখা এঁকে দিয়েছিলেন, সেই গল্প আত্মজীবনীতে বলেছেন শচীন টেন্ডুলকার। বাবা বলেছিলেন, জীবনে যা-ই হও, সবার আগে ভালো মানুষ হওয়া জরুরি। কবি-পুত্র টেন্ডুলকার শেষে কলমের বদলে ব্যাটকেই বানিয়েছেন ফাউন্টেন পেন। ছুটিয়েছেন রানের ফোয়ারা। কিন্তু বাবার কথাটা মনে রেখেছেন আজীবন। তাই কলঙ্কের দাগ কখনো লাগতে দেননি গায়ে। সেই টেন্ডুলকার এবার নিজের সন্তানের প্রতিও দিলেন পিতাসুলভ উপদেশ—জীবনে সফল হওয়ার কোনো চোরাগলি খুঁজো না।

অর্জুনকে নিজের পরিশ্রমের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখার পরামর্শ দিয়েছেন টেন্ডুলকার। তরুণ সম্ভাবনাময় পেসার অর্জুন সম্প্রতি মুম্বাই টি-টোয়েন্টি লিগে বল ও ব্যাট হাতে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। আকাশ টাইগার্সের হয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালেও খেলেছেন তিনি। মাঠে চাপ সামলাতে ছেলের প্রতি কী পরামর্শ থাকে সে প্রশ্নের জবাবে টেন্ডুলকার বলেছেন, ‘ক্রিকেট নিয়ে ওর আগ্রহ অনেক। অর্জুনের প্রথম পছন্দ ছিল ফুটবল, তারপর দাবা হয়ে বর্তমানে ক্রিকেটে এসে থিতু হয়েছে। আমি তাকে কখনোই কোনো কিছুর জন্য জোর করিনি, এমনকি ক্রিকেট খেলার জন্যও না। আমার বাবার দেওয়া পরামর্শটিই আমি অর্জুনকে দিয়েছি যে, জীবনে যা-ই করো না কেন, কখনো শর্টকাট অবলম্বন করবে না। তুমি শুধু পরিশ্রম করবে, আর তাতেই সাফল্যের দেখা পাবে।’

এই এক টুর্নামেন্ট দিয়েই অর্জুনকে নিয়ে আকাশকুসুম না ভাবারও পরামর্শ সবাইকে দিয়ে রাখলেন টেন্ডুলকার, ‘এই টুর্নামেন্টটি (মুম্বাই টি-টোয়েন্টি লিগ) একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য। দলের এবং নিজের জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করবে অর্জুন। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ক্রিকেটের উত্থান-পতন সম্পর্কেও বাস্তবিক অভিজ্ঞতা হবে তার। শেখা এবং সে অনুযায়ী কাজ করে নিজের ক্রিকেটে উন্নতি করা, এটি একটি প্রক্রিয়া। ফলাফল স্রষ্টার হাতে, তবে সফল হওয়ার জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে সব সময়।’

ইংল্যান্ডে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং একই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির সময় ভারতের নেট বোলার হিসেবে কাজ করেছেন শচীনপুত্র অর্জুন টেন্ডুলকার। টেন্ডুলকারও ক্যারিয়ারের শুরুতে পেসার ছিলেন। পরে স্পিন বোলিংও করেছেন। যদিও তাঁর ব্যাটিং সত্তার কাছে বাকি সবকিছুই ম্লান।