বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স দক্ষিণ আফ্রিকা!

বিশ্বকাপে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন না ক্যালিস। ছবি: টুইটার
বিশ্বকাপে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন না ক্যালিস। ছবি: টুইটার
এবারের বিশ্বকাপের ফেবারিটের তালিকায় নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। বরং ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমনটাই মত জ্যাক ক্যালিসের।

বিশ্বকাপ আর দক্ষিণ আফ্রিকা, দুজনের বসবাস যেন দুই মেরুতে। বিশ্বকাপ আসলেই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার চোকার অপবাদ ভড় করে। ১৯৯২ থেকে শুরু করে ২০১৫, সব বিশ্বকাপেই অদ্ভুতভাবে বিদায় নিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিসের মতে, এবারের বিশ্বকাপে ডার্ক হর্স দক্ষিণ আফ্রিকা। চাপটা তাই আগের থেকে অনেক কম।

জ্যাক ক্যালিসকে ধরা হয় সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে। বছরের পর বছর দক্ষিণ আফ্রিকার ভরসা হয়েছিলেন। ব্যাট হাতে ওয়ানডেতে ১১ হাজারের বেশি রানের পাশাপাশি আছে বল হাতে ২৭৩ উইকেট। ক্যালিসের আলো ঝলমলে ক্যারিয়ারের অপ্রাপ্তি শুধুই বিশ্বকাপ। সেমিফাইনাল আর কোয়ার্টারেই বারবার বাদ পড়তে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

এবার তাই ক্যালিসের ফেবারিটের তালিকা থেকে বাদ পরেছে নিজের দেশই। বরং দক্ষিণ আফ্রিকাকে এই বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স হিসেবেই দেখছেন ক্যালিস, ‘এবারই সম্ভবত প্রথম বিশ্বকাপ, যেবার প্রতিযোগিতা জয়ের আশা নিয়ে খেলতে যাচ্ছে না ওরা। বরং এই ক্রিকেট বিশ্বকাপে কিছু হারানোর নেই ভেবে খেলতে যাচ্ছে, এ কারণে খেলোয়াড়েরা ভারমুক্ত থাকবে এবং স্বাধীনভাবে খেলতে পারবে।’

আইসিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যালিস জানিয়েছে এই দল যে বিশ্বকাপে ভালো লড়াই করবে তা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই তাঁর, ‘পরিষ্কার করে বলি, এই দলের বিশ্বকাপ জেতার সব সম্ভাবনাই আছে। এই দলে কয়েকজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছেন। যখন দল হয়ে ভালো ক্রিকেট খেলে এরা বিশ্বের যে কোনো দলকে হারাতে পারবে। সেদিক দিয়ে এরা এই বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স। সব দলের এদের ভয় পাওয়া উচিত।’

চিন্তা সেই পুরোনো ইতিহাস নিয়েই। বিশ্বকাপ ইতিহাসের ভুতুড়ে সব কটি হারের পাশেই যে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। তা অবশ্য খেলোয়াড়দের মনে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলে না। ‘চার সেমিফাইনাল হারার পর ‘‘চোকার’’ ট্যাগ লাগাটাই স্বাভাবিক। আমার মনে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ না পাওয়া নিয়ে খেলোয়াড়দের থেকে মিডিয়ার চিন্তা বেশি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, আমরা কখনই মিডিয়ার কথা কানে তুলতাম না। দু-একজন এ নিয়ে ভাবলেও বেশির ভাগের ওপর এর কোনো প্রভাব পরত না। খেলোয়াড়েরা এ নিয়ে কখনোই তেমন চিন্তা করে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললে খারাপ পরিস্থিতিতে সমালোচনা শুনতে হবে এটা সবাই জানে।’

স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার। দেখা যাক এবার ‘ডার্ক হর্স’ দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের ‘চোকার’ তকমা ছাড়াতে পারে কি না।