শুরুর ম্যাচে আরেকটি 'সাকিবনামা'?

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠবেন সাকিব?
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠবেন সাকিব?
২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপ সাকিব আল হাসানের অভিষেক আসর। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই নিজেকে রাঙিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১১, ২০১৫—পরের দুটি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে অন্তত একটি ফিফটি পেয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এবারের বিশ্বকাপে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সাকিবের কাছ থেকে আরেকটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই চায় গোটা বাংলাদেশ

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ শুরু হচ্ছে আজই। কিন্তু বাংলাদেশের শুরু আরও দুই দিন পর—২ জুন। লন্ডনের ঐতিহাসিক ওভাল মাঠে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বেশ শক্তই—দক্ষিণ আফ্রিকা। রিকি পন্টিংয়ের কথায় নয়, এ ম্যাচে প্রোটিয়া অধিনায়ক বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানকে নিয়ে টিম মিটিংয়ে যে বাড়তি সময় ব্যয় করবেন, সেটি বলে দেওয়াই যায়। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সাকিবের পারফরম্যান্সের ইতিহাসই তাঁকে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দিতে হচ্ছে। যে কয়টা বিশ্বকাপ খেলেছেন, নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাকিব ছিলেন অনবদ্য।


২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সাকিব খেলেছিলেন প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই তাঁর অভিষেক ম্যাচ। সে ম্যাচ ফিফটি করে সে ঐতিহাসিক জয়ে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ৮৬ বলে ৫৩ রানের ইনিংসটিতে মিশে ছিল দৃঢ় প্রত্যয়। ভারতের জহির খান, মুনাফ প্যাটেল, অজিত আগারকারদের এমনভাবে খেলেছিলেন যেন কত অভিজ্ঞ তিনি। সেদিনই দুনিয়া চিনেছিল তাঁকে, বুঝে গিয়েছিল ক্রিকেটে অনেক দিন রাজত্ব করতেই তাঁর আবির্ভাব।

২০১১ বিশ্বকাপে তো বাংলাদেশের অধিনায়কই ছিলেন। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। প্রতিপক্ষ সেই ভারত। বীরেন্দর শেবাগ তাঁর ব্যাট দিয়ে বাংলাদেশের উৎসব কিছুটা ম্লান করে দিলেও সাকিব কিন্তু ব্যাটে-বলে অধিনায়কের মতোই পাল্টা দিয়েছিলেন। শেবাগের অসুরীয় এক সেঞ্চুরিতে ভারত ৩৭১ রানের পাহাড় গড়েছিল। অসম্ভব লক্ষ্যের দিকে বাংলাদেশ সেদিন ছুটেছিল সাকিবের ৫০ বলে ৫৫ রানের এক ইনিংসে। ভারতের রান উৎসবের মধ্যেও বোলার হিসেবে সবচেয়ে কম রান দিয়েছিলেন। তুলে নিয়েছিলেন ২ উইকেট।

২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে আফগানিস্তানকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে বাংলাদেশই উৎসব করেছিল। তুলে নিয়েছিলে বিশাল জয়। সেটির পেছনেও সাকিবের অবদান। ৫১ বলে ৬৩ করেছিলেন তিনি। বল হাতে নিয়েছিলেন ২ উইকেট।

সাকিবের শুরুর ম্যাচের ইতিহাসটা বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করতেই পারে। মাঠে নামার আগে নিজের ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যান সাকিব নিজে দেখবেন কি না, সেটি নিয়ে সন্দেহ থাকতেই পারে। ঠিক সে ধাতের নন তিনি। তবে সাকিব জ্বলে উঠলে বাংলাদেশের কাজটা যে সহজ হয়ে যায়, সেটা সবাই মানেন।

শুরুর দিনে আরও একটি ‘সাকিবনামা’ হোক না!