হরভজনের কাছে টিকিট চেয়েছিলেন শোয়েব!

বিশ্বকাপে আর খেলা হবে না ধরে নিয়ে দর্শকের ভূমিকা মেনে নিয়েছিলেন শোয়েব। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপে আর খেলা হবে না ধরে নিয়ে দর্শকের ভূমিকা মেনে নিয়েছিলেন শোয়েব। ফাইল ছবি

গত কিছুদিনে শহীদ আফ্রিদি ও গৌতম গম্ভীরের আলাপচারিতা দেখলে মনে হতে পারে দুই দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক। কিন্তু আদতে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ। এতটাই যে বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিটও আদান–প্রদান হয় তাঁদের মধ্যে!

এমন মজার খবর জানালেন হরভজন সিং। ২০১১ বিশ্বকাপে তাঁর কাছে ম্যাচের টিকিট চেয়েছিলেন শোয়েব আখতার। নিজের ও পরিবার সদস্যদের জন্য সেমিফাইনাল ও ফাইনালের টিকিট চেয়ে নিয়েছিলেন পাকিস্তানের এই গতি তারকা।

এমন তথ্যেও চমক না জাগলে পুরো ব্যাপারটিই খুলে বলা যাক। ইন্ডিয়া টুডেতে হরভজন বলেছেন, ‘২০১১ সালে ম্যাচের আগে আমার সঙ্গে শোয়েবের দেখা হয়েছিল। ম্যাচের আগে শোয়েব আখতারের পরিবার এসেছিল। সে তাই সেমিফাইনালের জন্য আমার কাছে টিকিট চেয়েছিল। আমি তাই ওকে ৪টা টিকিট দিয়েছিলাম। সে ওই ম্যাচে খেলেনি।’ মজাটা এতক্ষণে বুঝে ফেলার কথা। হ্যাঁ, তিনি বিশ্বকাপে সাধারণ এক দর্শক বা সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে উপস্থিত হননি শোয়েব। পাকিস্তান দলের সদস্য ছিলেন শোয়েব।

পড়তি ফর্মের শোয়েব ২০১১ বিশ্বকাপে খুব একতা ভালো করেননি। মাত্র তিন ম্যাচ খেলেছেন, পেয়েছিলেন মাত্র ৩ উইকেট। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ যে ম্যাচে নেমেছিলেন সে ম্যাচেও এক উইকেট পেয়েছিলেন। কিন্তু ৯ ওভারে ৭০ রান খরচ করায় বিশ্বকাপের বাকি সব ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। সেমিফাইনালে তাই আরেকটি ভারত-পাকিস্তান মহারণ খেলার সুযোগ হবে না বুঝতে পেরেছিলেন শোয়েব। তাই পরিবারের লোকজনের টিকিট জোগাড় করে দেওয়াতেই মন দিয়েছিলেন।

ভারতের কাছে ২৯ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল পাকিস্তান। ১০ ওভারে মাত্র ৪৩ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে তাতে বড় অবদান রেখেছিলেন হরভজন। আর বিশ্বকাপেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ দেখা শোয়েব ফাইনালের টিকিটও চেয়েছিলেন হরভজনের কাছে। এ নিয়ে হালকা মজা করতেও ভোলেননি ভারতীয় অফ স্পিনার, ‘ফাইনালের টিকিটও চেয়েছিল শোয়েব। আমি বলেছিলাম, সেটা দিয়ে কী করবে? ভারতই জিতবে। তুমি কি এসে সেটা দেখতে চাও? তাহলে আমি দু-চারটা টিকিট দেব।’

১৬ জুন আরেকটি ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ বিশ্বকাপে। এ ম্যাচ এ নিয়ে সমর্থকেরা এখনই স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু হরভজনের চোখে এ ম্যাচের এখন আর কোনো গুরুত্ব নেই। একে ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে কখনো পেরে ওঠে না পাকিস্তান। আর ইদানীং দুই দলের পারফরম্যান্সের তফাত, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এখন ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের মতো বড় নয়। সংবাদমাধ্যমের কাছে ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে হয়তো উন্মাদনা বেশি। কিন্তু ক্রিকেটীয় দিক থেকে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ১০ বার মুখোমুখি হলে সাড়ে নয়বারই পাকিস্তানকে হারাতে পারবে।’