ক্রিকেট নিষ্ঠুর, ঈশ্বর দয়ালু

নির্মলেন্দু গ‌ুণ
নির্মলেন্দু গ‌ুণ

আজকের লেখার শিরোনামটি ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও ভারতের হয়ে একটি বিশ্বকাপজয়ী মহেন্দ্র সিং ধোনির স্মরণীয় উক্তি থেকে গৃহীত। আর গেল ৩০ জুন রাত ১০টায় এ লেখাটি যখন লিখতে বসেছিলাম, তখন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সমর্থন নিয়ে ইংল্যান্ডের ৩৩৭ রানের পাহাড় ডিঙানোর জন্য ব্যাটের লড়াই শুরু করেছে ভারত।

ভারতীয়দের জার্সি বদলের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বডি ল্যাংগুয়েজেরও পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অকারণে অপরাজিত থাকার ব্যাপারে তাদের খুব আগ্রহ আছে বলে আমার মনে হয়নি। আসলে মাস্ট উইন সিচুয়েশনটা তো ইংল্যান্ডের, ভারতের নয়।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সমর্থকেরা ‘ইন্ডিয়া জিতেগা’ বলে যতই গলা ফাটাক না কেন, সেটা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কানে নিয়েছেন বলে মনে হয়নি। ভারতের আস্কিং রানরেটের পারদ তাই চড়চড় করে চড়েছে। ব্যক্তিগতভাবে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির রানের ঝুলি ভারী হওয়ার মধ্য দিয়েই খেলাটি শেষ হবে বলে আমার মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তা–ই।

ভারতের ব্যাট দিয়ে ইংরেজদের পিটিয়ে বিশ্বকাপ-ছাড়া করার উপমহাদেশীয় বাসনা তাতে পূর্ণ হয়নি।

তবে বাংলাদেশ যদি পাকিস্তান ও ভারতকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারে, কিংবা পাকিস্তান যদি বড় ব্যবধানে হারাতে পারে বাংলাদেশকে—তবে ১১ পয়েন্ট নিয়েও নেট রানরেট উন্নত করে সেমিতে যাওয়া সম্ভব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের। থিওরিটিক্যালি সম্ভব। বাস্তবে কী হবে, তা সময়ই বলবে।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে যেকোনো একটি দলের সেমিতে যাওয়ার আউটসাইড হোপ ইজ স্টিল অ্যালাইভ। সে ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে কোনো একটি দলকে ছিটকে পড়তে হবে।

ভারত ইংল্যান্ডের কাছে হারতে পারলে বাংলাদেশের কাছে নয় কেন?

এই প্রশ্নটা নিয়েই আজ ভারতের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের।