মাশরাফির সঙ্গ পেয়েছিল ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটাররা

ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার খেলার একটি মুহূর্ত। ছবি: ইসিবি ওয়েবসাইট
ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার খেলার একটি মুহূর্ত। ছবি: ইসিবি ওয়েবসাইট
>চার বছর আগে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ইংল্যান্ডের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল। দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সেবার কথা বলেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০১৫ বিশ্বকাপের টগবগে পারফরম্যান্সের গল্প শুনিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক

কথাটা হঠাৎ করেই তুললেন ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট উইংয়ের প্রধান ইয়ান মার্টিন। কিডসমিনস্টার ক্রিকেট ক্লাব মাঠে তখন চলছিল ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার খেলা। চার বছর আগে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ইংল্যান্ডের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল। দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সেবার কথা বলেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০১৫ বিশ্বকাপের টগবগে পারফরম্যান্সের গল্প শুনিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। মার্টিনের মতে, ইংল্যান্ডের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের জন্য সেটি ছিল দারুণ এক অভিজ্ঞতা।

মাশরাফির সঙ্গে ইংলিশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের সাক্ষাৎটা হয়েছিল বিসিবির মাধ্যমেই। শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক পথচলাটা তখন সবে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে আয়োজিত হয়েছিল পাঁচ জাতির এক প্রতিযোগিতা। ইংল্যান্ডকে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশের পারফরম্যান্স তখন দুর্দান্ত। ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজও তত দিনে জেতা হয়ে গেছে। মাশরাফি সেদিন ইংল্যান্ড শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলকে দিয়েছিলেন অনুপ্রেরণা। বলেছিলেন শূন্য থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের লড়াকু দল হয়ে ওঠার গল্পটা। মার্টিন বললেন দারুণ উপভোগ্য ছিল মাশরাফির সঙ্গে ইংলিশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎ, ‘বিসিবিই ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। আমি ইংল্যান্ডের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুরুর সংগ্রামের ইতিহাসটা জানাতে চেয়েছিলাম। ওই সময় বাংলাদেশ খেলছিলও দুর্দান্ত। মনে করতে পারি, মাশরাফির সঙ্গটা দারুণ উপভোগ্য ছিল ইংলিশ শারীরিক প্রতিবন্ধী দলের ক্রিকেটারদের জন্য।’

মাশরাফির জীবনের গল্পটা জানতেন না মার্টিন। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের ক্যারিয়ার যে প্রায় পুরোটাই চোটের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার, সেটি জেনে বিস্মিত ইসিবির এ কর্তা। ২০০১ সালে টেস্ট ও ওয়ানডে অভিষেক যার ঝড় তুলে হয়েছিল, সেই তিনিই সাতবার অস্ত্রোপচারের কারণে নিজের পুরো সামর্থ্যের সত্তর ভাগ দিতে পেরেছেন কিনা সন্দেহ। সাতবার শল্যবিদের ছুরির নিচে যাওয়া মাশরাফির ক্রিকেট-জীবন যে বেশ দীর্ঘ, এটা অবাক করেছে মার্টিনকে, ‘সাতবার অস্ত্রোপচার হওয়াটা তো মুখের কথা নয়। এরপরেও ক্যারিয়ার ১৮ বছরের ভাবা যায় না!’

যিনি অনেক কিছুই আমাদের ভাবতে বাধ্য করেছেন, সেই মাশরাফির ক্যারিয়ার যে একেবারে শেষের দিকে এটা জানেন মার্টিন। তবে ব্যাপারটা তিনি দেখেন একটু অন্যভাবেই, ‘যেকোনো ভালো কিছুরই শেষ আছে। মাশরাফি হয়তো বিদায় নেবেন একদিন, কিন্তু তিনি রেখে যাবেন দারুণ সব প্রেরণাদায়ী স্মৃতি।’

ইংল্যান্ড শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের মাশরাফিকে নিয়ে স্মৃতিও তেমন কিছুই!