আফগানদের লিড এখনই ৩৭৪, কাল আরও...

ভালো শুরু ধরে রাখতে না পারার হতাশা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। ছবি: প্রথম আলো
ভালো শুরু ধরে রাখতে না পারার হতাশা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। ছবি: প্রথম আলো
>

চট্টগ্রাম টেস্টে তৃতীয় দিন সকালে ২০৫ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় লিডের পথে আফগানিস্তান। 

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই প্রথম ওভারে দুই উইকেট হারিয়েছিল আফগানরা। পরে নাঈম হাসান আরেক উইকেট নিয়ে ২৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট ‘নেই’ করে দেন আফগানদের। বাংলাদেশের সামনে তখন এক শ রানের আগেই আফগানদের গুটিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আশা। কিন্তু তা আর হলো কোথায়? শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে বড় লিড নিয়েছে আফগানিস্তান।

৮ উইকেটে ২৩৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। হাতে ২ উইকেট রেখে এরই মধ্যে ৩৭৪ রানের লিড নিয়েছে আফগানিস্তান। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ কখনো এত রান তাড়া করে জিততে পারেনি। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৩১ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় বলেই ওপেনার ইহসানউল্লাহকে তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরের বলেই ফিরতি ক্যাচে ফিরিয়েছেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া রহমত শাহকে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন সাকিব। আর হাশমতউল্লাহকে ফিরিয়েছেন নাঈম হাসান।

শুরুর বিপর্যয়ের পরই ইনিংস মেরামত করার কাজে নেমে পড়েন ইব্রাহিম জাদরান আর আসগর আফগান। চতুর্থ উইকেটে ১০৮ রানের জুটি গড়েন দুজন। ব্যক্তিগত ৫০ রানে তাইজুলের শিকার হন আসগর আফগান। পঞ্চম উইকেটে আফসার জাজাইয়ের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন ১৭ বছর বয়সী ইব্রাহিম জাদরান। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির সুবাস নিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। ৮৭ রানে উইকেট দিয়েছেন নাঈম হাসানকে। ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন আফসার জাজাই। ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।

চট্টগ্রাম টেস্টে ৮ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় দিনে খেলা শুরুর চার ওভারের মধ্যে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। সময়ের হিসেবে মাত্র ১৭ মিনিট। ২০৫ রানে অলআউট হওয়ায় প্রথম ইনিংসেই আফগানিস্তানের সঙ্গে বেশ পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

কাল অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটি গড়ে বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। আজ কোনো রান যোগ করার আগে জুটি ভেঙেছে তাঁদের। দিনের তৃতীয় বলে তাইজুলকে তুলে নেন মোহাম্মদ নবী। ৫৮ বলে ১৪ রান করে বোল্ড হন তাইজুল। অন্য প্রান্তে তখন ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক। কিন্তু ফিফটি তুলে নিতে পারেননি তিনি। ৭১তম ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান নাঈম হাসানকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রশিদ খান। ৪৮ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মোসাদ্দেককে।

আফগানিস্তানের সেরা স্পিনার অধিনায়ক রশিদ। ১৯.৫ ওভারে ৫৫ রানে ৫ উইকেট নেন এ লেগি। ৫৬ রানে ৩ উইকেট নবীর। প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রান তুলেছিল আফগানিস্তান।