রংপুরকে বাঁচাতে পারলেন না ওয়াটসনও

রংপুরের বিদেশি ক্রিকেটারদের ব্যর্থতা ভোগাচ্ছে দলকে। ছবি: প্রথম আলো
রংপুরের বিদেশি ক্রিকেটারদের ব্যর্থতা ভোগাচ্ছে দলকে। ছবি: প্রথম আলো

এবারের বিপিএলে রংপুর রেঞ্জার্স আছে তলানিতে। পয়েন্টে তাদের সঙ্গী হিসেবে সিলেট থান্ডার থাকলেও নেতিবাচক রান রেটে ধরাছোঁয়ার বাইরে রংপুর। টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট শেন ওয়াটসনকে ডেকে তাঁর কাঁধেই দলের নেতৃত্ব তাই তুলে দিয়েছে রংপুর। তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি। ওয়াটসনকে পেয়েও খুলনা টাইগার্সের কাছে ৫২ রানে হেরেছে রংপুর।

ব্যবধানটা আরও অনেক বেশি হতে পারত। বহুদিন পর বল হাতে ভালো করার আত্মবিশ্বাস ব্যাটিংয়েও টেনে এনেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর সঙ্গে সনজিত সাহাও এঁটে যাওয়ায় শেষ উইকেট জুটিতে বেশ কিছু রান পেয়েছে রংপুর। এগারোতে নামা ১১ বলে ২১ রান করা মোস্তাফিজই দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোনো দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা বোঝাতে আর কোনো পরিসংখ্যান দরকার হয় না। অপরাজিত দশম উইকেটে এসেছে ২৩ রান, সেটাও দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ!

১৮৩ রানের লক্ষ্যে নামা একটি দলের জয়ের জন্য যেমন খেলা উচিত তার পুরো বিপরীত খেলেছে রংপুর। দলের সব প্রত্যাশা ছিল ওয়াটসনের ওপর। দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ৫০ স্ট্রাইকরেট নিয়ে ফিরে গেছেন ওয়াটসন। একজমাত্র মোহাম্মদ নাঈম একটু আগ্রাসী খেলছিলেন। কিন্তু মোহাম্মদ আমিরের বাড়তি বাউন্স ৯ বলে ২০ রানে থামিয়ে দিয়েছে নাইমকে। এরপর শুধু উইকেটে আসা যাওয়ার মিছিল হয়েছে। গ্রেগরির ২৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংসটি ছিল অপ্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। বিপিএলের নিলামে বিদেশিদের মাঝে সবার আগে ডেকে নেওয়া মোহাম্মদ নবীও ১৪ বলে মাত্র ৭ রান করেছেন। মোস্তাফিজ ও সনজিতের ১৪ বলের জুটিটা শুধু অলআউট হওয়া আটকাতে পেরেছে।

এর আগে মোস্তাফিজের ২৮ রানে ৩ উইকেটের স্পেলের পরও ১৮২ রান তুলেছে খুলনা। মুকিদুলের প্রথম ওভারেই রান উৎসব করেছিল খুলনা। দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন দুজনই দুটি করে চার মেরেছেন প্রথম ওভারে। এ রান উৎসব খুব বেশিক্ষণ চলেনি। মিরাজ ও রুশোকে পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ পরের ওভারেই। ক্ষণিক পরে সামসুর রহমানও বিদায় নিয়েছিলেন। কিন্তু মুশফিকুর রহিম (৫৯) ও নজীবুল্লাহ জাদরানের (৪১) ৫১ বলে ৮২ রানে জুটি রান পাহাড়ে তুলে দিয়েছে খুলনাকে।