ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ফুটবল নয়, আলোচনায় দর্শক
>ম্যানচেস্টার ডার্বিতে কাল লেগে গিয়েছিল দুই দলের সমর্থকদের। ইউনাইটেডের কাছে ফিরতি লেগে সিটি ১-০ ব্যবধানে হারলেও উঠেছে ফাইনালে
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আগের দিন আর নেই। সাম্প্রতিক সাফল্য বিচারে ম্যানচেস্টার শহরের বড় প্রতিনিধি এখন ম্যানচেস্টার সিটি। তবুও এ দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হওয়া মানেই ঝাঁজাল লড়াই। কাল কারাবাও কাপ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে সিটির মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল দুই প্রতিবেশী। এ ম্যাচে ফুটবল ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুই দলের সমর্থকদের আচরণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ম্যাচে সিটি সমর্থকেরা দু হাত ছড়িয়ে বিমানের অঙ্গভঙ্গি দেখিয়েছেন ইউনাইটেড সমর্থকদের প্রতি। ইউনাইটেড সমর্থকদের খোঁচাতেই এমন আচরণ। ১৯৫৮ সালে মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় গোটা দলই হারিয়েছিল ইউনাইটেড (মোট নিহতসংখ্যা ২৩)। অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ব্যথাতুর সে স্মৃতি খুঁচিয়ে ইউনাইটেড সমর্থকদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে স্বাগতিক সমর্থকেরা। ইউনাইটেড সমর্থকেরাও কম যায়নি। ম্যাচ শেষে সিটি সমর্থকদের উদ্দেশে তারা চেয়ার ছুড়ে মেরেছে।
এমন আগুনে ম্যাচে মাঠের খেলায় চলেছে গোলখরা। ঘরের মাঠে খুঁড়িয়ে কারাবাও কাপের ফাইনালে উঠেছে সিটি। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে কাল ফিরতি লেগে ১-০ গোলে হারলেও প্রথম লেগে ৩-১ গোলের জয় পেয়েছিল সিটি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের জয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল পেপ গার্দিওলার দল।১ মার্চের ফাইনালে ওয়েম্বলিতে তাদের প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা।
প্রথমার্ধে রহিম স্টার্লিং-রিয়াদ মাহরেজরা অনেক চেষ্টা করেও ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়াকে ফাঁকি দিতে পারেনি। উল্টো ৩৬ মিনিটে ইউনাইটেডের প্রথম আক্রমণেই গোল করেন নেমানজা মাতিচ। নির্ধারিত সময়ের ১৪ মিনিট আগে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠও ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।
ফাইনালে উঠলেও সিটি সমর্থকদের আচরণে খুশি হতে পারেননি কোচ পেপ গার্দিওলা, ‘জানি না ঠিক কী ঘটেছে, তবে এটিও মোটেও ভালো খবর না। সিটির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানো হলেও সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনাটির তদন্ত করা হবে। এরপর ব্যবস্থা। ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’তে এর আগে এমন ঘটনা ঘটায় প্রতিপক্ষ সমর্থকদের জন্য আসনসংখ্যা অনেক কমানো হয়েছে। সিটি কোচের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন ইউনাইটেড কোচ ওলে গুনার সুলশার, ‘আমাকে পেপের পাশে দাঁড়াতে হবে। ফুটবল উপভোগ করা উচিত। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা চাই কিন্তু ভারসাম্য রাখা উচিত।’