'কিছু শিক্ষিত বেকুবই করোনার কাছে হারার জন্য যথেষ্ট'

হার্শা ভোগলে। ছবি : এএফপি
হার্শা ভোগলে। ছবি : এএফপি
>

শুধু বাংলাদেশই নয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও অনেক মানুষ সঠিকভাবে কোয়ারেন্টিনের নিয়মাবলি মেনে চলছে না। আর এতেই চটেছেন দেশটির ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে

কেউ বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, কেউ পার্টি করছেন। কেউ বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ বা ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার যে এসব জনসমাগমের মধ্যেই বেশি নয়, এ নিয়ে কারওরই যেন কোনো বিকার নেই। আর এতেই মেজাজ খারাপ হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের।

অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষ তো বটেই, শিক্ষিত মানুষদেরও এমন নির্বিকারভাবে ঘোরাফেরা, পার্টি করতে দেখে আশ্চর্য হয়েছেন ভোগলে। হতাশও হয়েছেন, ‘আসলে ব্যাপারটা খুবই হতাশার, মানুষজন করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে ঘুরে এসে পার্টি করতে যাচ্ছে। দশ লাখ মানুষ বাসায় বসে থেকে চাইলে ঠিক কাজটা করতে পারে। কিন্তু শেষমেশ ওই কয়েকজন বেকুবের কারণেই করোনার মতো প্রতিপক্ষদের কাছে লড়াইয়ে হারতে হয়। আসুন সতর্ক থাকি। আমরা এই লড়াইটা অবশ্যই জিতব।’

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামীকাল ভারতজুড়ে ১৪ ঘণ্টার ‘জনতার কারফিউ’ চলবে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মোদি জানান, ওই দিন সকাল সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সবাইকে অবশ্যই ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। মোদি বলেছেন, জনতার কারফিউয়ের সময় কেউ বাড়িঘর ত্যাগ করতে পারবে না বা পাশের বাড়িতে যেতে পারবে না। যারা জরুরি সেবার কাজে আছে, শুধু তারাই ঘরের বাইরে যেতে পারবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রে অকারণ হুড়োহুড়ি না করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারত-প্রধান। মোদি বলেন, ‘রোববার বিকেল পাঁচটায় পাঁচ মিনিটের জন্য সবাই বাড়ির ব্যালকনি, জানালা বা দরজা খুলে যারা সেবার কাজের সঙ্গে আছে তাদের ঘণ্টা বাজিয়ে, তালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানাব।’

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে ওয়াকিবহাল মোদি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস মানবতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। বিশ্বযুদ্ধে যত দেশ আক্রান্ত হয়েছিল, করোনায় এর চেয়ে বেশি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমাদের ভিড় উপেক্ষা করতে হবে, আর ঘরে থাকতে হবে।’