অথচ রিয়াল মাদ্রিদে যেতেই চাননি তিনি

যেদিন রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন কাকা। ছবি : এএফপি
যেদিন রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন কাকা। ছবি : এএফপি
>২০০৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দামি তারকা হয়ে এসি মিলান থেকে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়েছিলেন ব্রাজিলের মিডফিল্ডার কাকা। অথচ মিলান ছাড়ার কোনো ইচ্ছেই ছিল না তাঁর

সারা বিশ্ব তখন কাকার পায়ের নিচে।

বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় তখন তিনি। এসি মিলানের হয়ে জাদু দেখিয়ে যাচ্ছেন। এক বছর আগেই জিতেছেন ব্যালন ডি' অর। স্বাভাবিকভাবেই, স্প্যানিশ পরাশক্জাতি রিয়াল মাদ্রিদের নজর পড়ল তাঁর দিকে। বিশ্বের সেরা সেরা সব খেলোয়াড়দের দলে টানতে যারা সিদ্ধহস্ত। শেষমেশ বিশ্বের সবচেয়ে দামি তারকা হয়ে এসি মিলান থেকে ২০০৯ সালে রিয়ালে নাম লেখান কাকা। কিন্তু সেই দলবদলে কাকার নিজের কতটুকু মত ছিল?

কাকার মুখপাত্র গায়েতানো পাওলিয়োর কথা মানলে, এসি মিলান ছাড়তে চাননি এই ব্রাজিল তারকা। কিন্তু মিলানের আর্থিক অনটনের কথা বিবেচনা করে রিয়ালে যোগ না দিয়েও পারেননি তিনি, 'সত্যি বলতে কী, কাকা কখনই মিলান ছাড়তে চায়নি। সে মিলানে ওর পরিবারকে নিয়ে বেশ খুশিই ছিল। ভালো খেলছিল। কিন্তু ক্লাবই তাঁকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। রিয়াল মাদ্রিদও সে সুযোগটাই খুঁজছিল যেন। '
মিলানের প্রধান নির্বাহী আদ্রিয়ানো গালিয়ানোও চাননি কাকাকে ছাড়তে, 'গালিয়ানিও তখন কাকাকে ছাড়তে চাননি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা গালিয়ানির ছিল না।'

বেশ কয়েক বছর ধরেই কাকাকে দলে চাইছিল রিয়াল। কিন্তু এসি মিলান বা কাকা, কেউই এর আগে সেই প্রস্তাবে রাজি হননি, জানিয়েছেন পাওলিও, 'অবশ্যই, এই বিষয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই যে রিয়াল মাদ্রিদ হলো রিয়াল মাদ্রিদ। তাঁদের সফলতার সঙ্গে অন্য কারওর তুলনা চলে না। তবে কাকা স্পেনে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে যা জিতেছিল, তা অবশ্যই এসি মিলানের চেয়ে বেশি নয়। এর আগেও কাকাকে চেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু সব সময় হয় মিলান, নয় কাকা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল। প্রতি বছর রিয়াল জিজ্ঞেস করত, এসি মিলান কাকাকে বিক্রি করবে কি না।'

এই ব্যাপারে একটা বিশেষ ঘটনা স্মরণ করেছেন পাওলিয়ো, 'একদিন রিয়ালের দুই পরিচালক ফ্রাঙ্কো বালদিনি আর প্রেদ্রাগ মিয়াতোভিচ আমার বাসায় এলো কথা বলার জন্য। কাকতালীয়ভাবে সেদিন কাকার বাবাও ছিল আমার বাসায়। তিনি বারবার বলছিলেন, কাকা বিক্রির জন্য নয়। ও এসি মিলানেই থাকবে।'

কাকা নিজেও নিঃসন্দেহ ছিলেন মিলানে থাকার ব্যাপারে, 'আমার মনে পড়ে, ২০০৯ সালে মিলানের হয়ে খেলার পর ও যখন ব্রাজিলের হয়ে ম্যাচ খেলতে গেল, তখন ও সাথে করে শুধু একটা ব্যাকপ্যাক নিয়ে গিয়েছিল। আমি ওকে মালপেনসা বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলাম। ও আমাকে বলল, ''এসে দেখা হবে আবার বন্ধু''। কিন্তু সে মৌসুমেই মিলান ওকে বিক্রি করে দেয়।'