'১৫ গোলও কম নয়'

ওয়াহেদ আহমেদ
ওয়াহেদ আহমেদ

বিদেশিদের দাপটে স্থানীয় স্ট্রাইকাররা আড়ালে ঢাকা পড়েছেন অনেক আগেই। তারই ধারাবাহিকতা থাকল গত পরশু শেষ হওয়া সপ্তম পেশাদার লিগেও।এই লিগে স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করা মোহামেডানের ওয়াহেদ আহমেদ কাল ফোনে বললেন কেন বিদেশিদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছেন না দেশি স্ট্রাইকাররা
 কোথায় আছেন এখন?
ওয়াহেদ আহমেদ: সিলেটে এসেছি ঈদ করতে। সবাই মিলে বেশ মজা করে সময় কাটাচ্ছি।
 এবার লিগে স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেছেন। এটাও কি আনন্দের বাড়তি উপলক্ষ?
ওয়াহেদ: দেশি স্ট্রাইকারদের মধ্যে সবার ওপরে আছি, এতে আমি খুশি। ১৫ গোলও তো কম নয়। কারণ আমি ১৮-১৯টার বেশি ম্যাচ খেলিনি। সেদিক থেকে গোল ঠিকই আছে।
 কিন্তু আপনি আর ১৪ গোল করা মিঠুন ছাড়া অন্য স্ট্রাইকাররা অনেক পেছনে। দেশি স্ট্রাইকারদের এই দুর্দশা কেন?
ওয়াহেদ: সব দলেই স্ট্রাইকার পজিশনে খেলে বিদেশিরা। দেশি স্ট্রাইকাররা সুযোগই পায় না বলতে গেলে। সুযোগ পেলে গোল সবাই কম বেশি করে। আমাদের দেশে সমস্যা হয়েছে, সব দলই বিদেশি স্ট্রাইকারের ওপর নির্ভরশীল। এটা না কমলে দেশি স্ট্রাইকারদের দুরবস্থা দূর হবে না।
 দেশি স্ট্রাইকাররা খারাপ করা মানে জাতীয় দলের জন্যই অশনিসংকেত। সামনে এশিয়ান গেমস...
ওয়াহেদ: ঠিকই বলেছেন। কিন্তু করার কী আছে। দেশি স্ট্রাইকার গড়ে ওঠার সুযোগ ক্লাবগুলোকে দিতে হবে। কোনো খেলোয়াড় যদি বসেই থাকে, তাহলে সে ভালো করবে কীভাবে? এটা সবাইকে বুঝতে হবে। কিন্তু আমাদের এখানে তো বিদেশিদের প্রাধান্য বেশি।
 আপনার ক্লাবের কথায় আসি। মোহামেডান এবার বড় বাজেটের দল গড়েও চতুর্থ হলো কেন?
ওয়াহেদ: আসলে আমাদের বিদেশি খেলোয়াড়েরা প্রত্যাশামতো খেলতে পারেনি। ফলে একটা সমস্যা হয়েছে। আমরা লিগের প্রথম পর্বে ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট পেয়েছি, দ্বিতীয় পর্বে ১৮ পয়েন্ট, তৃতীয় পর্বে ১৩। শেষ পর্বে তুলনামূলক খারাপ হয়ে গেছে।
 অনেকে তো বলছেন, ক্লাব থেকে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নিয়ে মোহামেডানের কোনো কোনো তারকা মন দিয়ে খেলেননি। খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তো গুরুতরই...
ওয়াহেদ: জানি না কার কথা বলছেন। তবে আমি বলতে পারি, সবাই নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। কোনো কারণে হয়তো হয়নি। তবে এটা ঠিক, আমাদের অন্তত রানার্সআপ হওয়া উচিত ছিল। ক্লাব চেষ্টা করেছে সাধ্যমতো। চতুর্থ স্থান ক্লাবের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
 এমনিতে লিগটা কেমন হলো?
ওয়াহেদ: লিগ ভালোই হয়েছে। তবে একটু লম্বাই ছিল। প্রথম দুই পর্বে ভালোই জমেছে। কিন্তু তৃতীয় পর্ব সেভাবে নজর কাড়েনি। কারণ, শেখ জামাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাচ্ছে এটা তখন পরিষ্কারই ছিল। শেষ কয়েকটা ম্যাচে তাই কোনো আকর্ষণ থাকেনি।