পিছিয়ে পড়েও 'সলিড' জয়

ম্যাচ শুরুর আধঘণ্টা আগে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে হঠাৎ হেলিকপ্টার। কলকাতা থেকে সড়কপথে ঢাকা এসে চট্টগ্রামের ফ্লাইট পাচ্ছিলেন না কলকাতা মোহামেডানের পাঁচ খেলোয়াড়। শেষমেশ ৪০ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে হেলিকপ্টারে তাঁদের চট্টগ্রামে আনা।
ওই খেলোয়াড়দের মধ্যে তিন বিদেশিকে একাদশেও রাখলেন কলকাতা মোহামেডানের কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য। ৩০ মিনিটে গোলও পেয়ে গেল কলকাতা মোহামেডান। সম্মিলিত আক্রমণ থেকে সলিড গোলরক্ষক আই টি এম ফাজিলের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে নেন স্ট্রাইকার তাউরুস তিমপ্লেহ মানেহ। এই অর্ধে কলকাতা মোহামেডানেরই ছিল পরিষ্কার প্রাধান্য। বল পজেশন ধরে রেখে বেশ কিছু আক্রমণ গড়েছে। একাধিক গোল না পাওয়া দুর্ভাগ্যই। একবার তো বল লাগল পোস্টে।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গল্পটা ভিন্ন। কিছুটা ক্লান্তির কাছে হার মানে আই লিগের দ্বিতীয় স্তরের দলটি। এ সুযোগে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দুটি গোল আদায় করে পিছিয়ে পড়া ম্যাচ পকেটে পুরেছে সলিড (২-১)। কোচ ডব্লু পি এস জাসমিন একজন আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার বাড়িয়ে বাজিমাত করলেন। ৪৭ মিনিটে সতীর্থের সঙ্গে ওয়াল করে বলটা দারুণভাবে বের করেন মিডফিল্ডার এ ও সোলা। এরপর তাঁর নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ।
সলিডের জয়সূচক গোলটা ৮৮ মিনিটে। ফিগুরাদোর ফ্রি-কিকে হেড করেছিলেন কলকাতা মোহামেডানের মনিরুল। বল পড়ল সুযোগের অপেক্ষায় থাকা জেনারুবানার কাছে, আলতো টোকায় বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি এই মিডফিল্ডার।
পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধের বীরত্বে জয় পেয়ে খুশি সলিড কোচ জাসমিন, ‘ছেলেরা দারুণ খেলেছে। জয়টা আমাদের প্রাপ্যই ছিল।’ কলকাতা মোহামেডানের কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য স্কোরলাইনে হতাশ, তবে দলের পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট নন।