ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট থাকবেন না

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা l হোয়াইট হাউস
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা l হোয়াইট হাউস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই মেয়াদে প্রায় আট বছর ধরে হোয়াইট হাউসে অবস্থান করছেন বারাক ওবামা ও তাঁর পরিবার। আগামী জানুয়ারিতে নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে হোয়াইট হাউসের চাবি তুলে দেবেন তিনি। সঙ্গে দেবেন রাষ্ট্রক্ষমতাও। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যে অ্যাকাউন্টগুলোতে এত দিন তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল, সেগুলোর কী হবে? আগের পোস্টগুলো কি থাকবে?

এমন সমস্যা এবারই প্রথম। কারণ, ওবামাই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে, ওভাল অফিসে তিনিই প্রথম ফেসবুক লাইভে আসেন, ইউটিউবে নাগরিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন, স্ন্যাপচ্যাটে ফিল্টার ব্যবহার করেন। এ জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামাকে সোশ্যাল মিডিয়া প্রেসিডেন্টও বলা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশের এবং গোটা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তিনি।

বারাক ওবামার দীর্ঘদিন ব্যবহৃত এ অ্যাকাউন্টগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সম্পত্তি। অর্থাৎ যিনি যখন প্রেসিডেন্ট থাকবেন, তখন তাঁর। আর তাই আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী নতুন প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণে থাকবে অ্যাকাউন্টগুলো।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ব্যবহৃত টুইটার অ্যাকাউন্টটি (@Potus) আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে নতুন করে শুরু হবে। আগের সব পোস্ট মুছে ফেলা হবে। তবে ওই অ্যাকাউন্টের ১ কোটি ১১ লাখ অনুসারী আগের মতোই যুক্ত থাকবেন।

মুছে ফেলার আগে বারাক ওবামার দেওয়া পোস্টগুলো জাতীয় সংগ্রহশালায় সংরক্ষণ করা হবে। একই সঙ্গে @Potus44 নামের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্টগুলো স্থানান্তর করা হবে। বর্তমানে থাকা হোয়াইট হাউস, ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রেস সচিব জশ আর্নেস্টের টুইটগুলো যথারীতি জাতীয় সংগ্রহশালায় সংরক্ষণ করা হবে।

একই পরিণতি হবে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টাম্বলার ও ইউটিউবের ক্ষেত্রেও। আর হিলারি ক্লিনটন কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্প—নতুন প্রেসিডেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত থাকতে পরিষ্কার অ্যাকাউন্ট পাবেন।

অনামিকা মণ্ডল, সূত্র: টেকক্রাঞ্চ