শিশুদের নিরাপত্তা ঘড়িতে ত্রুটি

কর্মজীবী মা-বাবার জন্য তাঁদের শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং গতিবিধির ওপর নজর রাখতে বাজারে বেশ কিছু নামীদামি ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচ রয়েছে। গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) ব্যবহার করে এসব ঘড়ির মাধ্যমে বাবা-মা সহজেই সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে নিরাপত্তা প্রদানের এসব ঘড়িরই নিরাপত্তা নেই। খুব সহজেই এসব ঘড়ি হ্যাক করা সম্ভব বলে সম্প্রতি দাবি করেছে দ্য নরওয়েজিয়ান কনজ্যুমার কাউন্সিল (এনসিসি)। বাজারে থাকা শিশুদের জন্য উন্নতমানের বেশ কিছু স্মার্টওয়াচ পরীক্ষা করে এ তথ্য জানিয়েছে তারা।

সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে থাকা শিশুদের স্মার্টওয়াচগুলোর জিপিএস খুব সহজেই হ্যাক করা যায়। ফলে কোনো সাইবার দুষ্কৃতিকারী চাইলেই স্মার্টওয়াচ ব্যবহারকারীর গতিবিধির ওপর নজরদারি করা, তথ্য চুরিসহ যোগাযোগ স্থাপনও করতে পারবে। এনসিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্মার্টওয়াচগুলোর তথ্য স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ডেটা এনক্রিপশনের মতো বাড়তি কোনো নিরাপত্তা পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়নি। তাই খুব সাধারণ হ্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করেই এসব স্মার্টওয়াচ হ্যাক করা সম্ভব। এ নিয়ে এনসিসির মুখপাত্র অ্যালেক্স নিল বলেন, নিরাপত্তা প্রদানকারী এসব ঘড়িরই নিরাপত্তা নেই।

এ ব্যাপারে শিশুদের স্মার্টওয়াচ নির্মাতাদের অনেকেই জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত ত্রুটিগুলো ইতিমধ্যে ঠিক করার কাজ শুরু হয়েছে। শিশুদের জনপ্রিয় স্মার্টওয়াচ নির্মাতা গ্যাটর বাজার থেকে ত্রুটিযুক্ত স্মার্টওয়াচগুলো উঠিয়ে নিতে শুরু করেছে। গ্যাটরের যুক্তরাজ্যের প্রধান খুচরা বিক্রেতা জন লুইস এ বিষয়ে বলেন, এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে কোনো ব্যবহারকারী কোনো অভিযোগ জানায়নি, তবু পূর্ব সতর্কতা হিসেবেই বাজার থেকে বেশ কিছু জনপ্রিয় মডেলের স্মার্টওয়াচ উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ‘জিপিএস ফর কিডস’ স্মার্টওয়াচ নির্মাতারা জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তা সমস্যাটির সমাধান করে নতুন ঘড়ি বাজারে ছেড়েছে। তারা স্মার্টওয়াচের তথ্য নতুন এনক্রিপ্টেড স্থানেও সরিয়ে নিয়েছে। আগের ব্যবহারকারী চাইলে সেটি হালনাগাদ করে নিতে পারবে।

সূত্র: বিবিসি