আইনস্টাইনের সুখের সূত্র

আইনস্টাইনের হাতে লেখা সুখের সূত্র।
আইনস্টাইনের হাতে লেখা সুখের সূত্র।

কিসে হয় সুখ? এর কি কোনো সূত্র আছে? বিজ্ঞানী আইনস্টাইন হয়তো ভালো বলতে পারবেন। আপেক্ষিকতার তত্ত্বের মতো বিজ্ঞানের বিখ্যাত অনেক সূত্র আবিষ্কার করেছেন তিনি। সুখী হওয়ার জন্য একটি সূত্র কিন্তু সত্যিই দিয়েছিলেন তিনি। জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী বিশ্বখ্যাত এ পদার্থবিজ্ঞানী ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯২২ সালে জাপানে একবার বক্তৃতা দিতে গিয়ে সুখ সম্পর্কে একটি নোট লিখেছিলেন আইনস্টাইন। 

ওই নোট তিনি দিয়েছিলেন টোকিওর এক বার্তাবাহককে। এতে সংক্ষেপে সুখী জীবনযাপনের তত্ত্বটি লেখা ছিল। ইসরায়েলের জেরুজালেমে ৯৫ বছর পর আইনস্টাইনের হাতে লেখা সে নোট নিলামে উঠছে।
এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী আইনস্টাইনের নাম ছড়িয়ে পড়ে। ১৯২২ সালে জাপানে বক্তৃতা দিতে যান তিনি। টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে ছিলেন তিনি। সে সময় এক জাপানি বার্তাবাহক তাঁর কাছে বার্তা নিয়ে আসেন। সাধারণত কেউ বার্তা নিয়ে এলে তাঁকে কিছু বকশিশ দিতে হয়। ধারণা করা হয়, আইনস্টাইন বার্তাবাহককে বকশিশ দিতে চাইলেও তা নিতে চাননি ওই বার্তাবাহক অথবা আইনস্টাইনের কাছে খুচরা ছিল না।
আইনস্টাইনের নোটটি এত দিন ছিল জার্মানির হামবুর্গের এক ব্যক্তির কাছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ওই নোট বার্তাবাহককে দেওয়ার সময় আইনস্টাইন বলেছিলেন, যদি তুমি ভাগ্যবান হও, এ নোটগুলো সাধারণ বকশিশের চেয়ে বেশি দামি হবে। একটি নোটে লেখা ছিল, ‘নিত্য অশান্তিযুক্ত সফল জীবনের চেয়ে শান্ত ও পরিমিত জীবন অধিক আনন্দের।’
আরেকটি সাদা কাগজের ওপর লিখে দিয়েছিলেন, ‘ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়’—এ কথাটি।
জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাফেজখানার সংরক্ষক রনি গ্রোজ বলেন, ওই নোটগুলো আইনস্টাইনের ছড়িয়ে পড়া খ্যাতির প্রতিফলনের ফলে সৃষ্ট মন্তব্য কি না, তা বোঝার উপায় নেই। এ নোটগুলো এত দিন গবেষকেদের কাছে অজানা ছিল। তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক মূল্য নেই। এতে আইনস্টাইনের নিজস্ব চিন্তার বিষয়টি ফুটে ওঠে।
গ্রোজ বলেন, ‘এতে আমরা আইনস্টাইনের একটি চিত্র পাই। তাঁর চিন্তা ও লেখনীর মাধ্যমে একজন মানুষ, বিজ্ঞানী ও বিশ্বে তাঁর প্রভাব ফুটে ওঠে।’ তথ্যসূত্র: এনডিটিভি অনলাইন।