প্রশ্নফাঁস সমস্যা ডিজিটাল উপায়ে সমাধান সম্ভব: মোস্তাফা জব্বার

মোস্তাফা জব্বার
মোস্তাফা জব্বার

বর্তমান প্রশ্নপত্র ফাঁসের সমস্যা ডিজিটাল উপায়ে সমাধান করা সম্ভব। কারণ, শিশুদের এখন আর চক-ডাস্টার, টেবিল-চেয়ারে পড়ানো যাবে না। তাদের কম্পিউটারের মাধ্যমে শেখাতে হবে। তারা ডিজিটালের ছোঁয়া পেয়েছে। ১৭৬০ সালের যে শিক্ষাব্যবস্থা এখনো বিদ্যমান রয়েছে, এর পরিবর্তন না আনলে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার অগ্রগতি সম্ভব নয়। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশ্নফাঁস হলে তা সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব।

বিজয় নেটিজেনের উদ্যোগে সম্প্রতি রাজধানীর এলজিইডি ভবনে ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর’ শীর্ষক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক দেলওয়ার হোসেন, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, আমরা নেটওয়ার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেটিজেন আইটি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিসিপি মোহাম্মাদ আশিকুজ্জামান খান।

অনুষ্ঠানে ‘শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর’ কার্যক্রমের ওপরে মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন নেটিজেন আইটি লিমিটেডর প্রধান নির্বাহী রায়হান নোবেল। তিনি বলেন, সারা দেশে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বিজয় ও নেটিজেন কমিউনিটি পরিবার। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় স্থানীয় পর্যায়ের তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে গড়ে তুলেছে কমিউনিটি পরিবার। প্রকল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় তিন হাজার কর্মী কাজ করছেন। মাত্র দুই বছরের মধ্যে ২ হাজার ৩০০ প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সারা দেশে বিকাশের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ফি প্রদানের লক্ষ্যে বিকাশ লিমিটেডের সঙ্গে নেটিজেন আইটি লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মিজানুর রশিদ ও নেটিজেন আইটির প্রধান নির্বাহী রায়হান নোবেল স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে বিকাশ ব্যবহার করে সহজে ঘরে বসেই টিউশন ফি দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে হলে ডিজিটাল শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ কাজে বিকাশ সব সময় নেটিজেন ও বিজয়ের পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে বিজয় শিশু শিক্ষার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ উন্মুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে বিজয় নেটিজেনের সাত শতাধিক সহযোগী হাজির হন।