জবসের কথা যদি শুনতেন জাকারবার্গ!

স্টিভ জবস
স্টিভ জবস

মার্ক জাকারবার্গকে অনেকে অ্যাপলের প্রয়াত সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁরা বলেন, জবসের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই চলছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে জাকারবার্গ যদি জবসকে গুরু মানতেন, তাহলে হয়তো ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হওয়ার মতো কেলেঙ্কারিতে পড়তেন না। সেই ২০১০ সালেই মার্ক জাকারবার্গকে ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন জবস।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর ‘অল থিংস ডি’ সম্মেলনে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করছিলেন স্টিভ জবস। সঙ্গে ছিলেন বিখ্যাত সাংবাদিক ওয়াল্ট মসবার্গ। সে সময়ে দর্শকসারিতেই ছিলেন জাকারবার্গ। তিনিও সম্মেলনের আমন্ত্রিত অতিথি। খানিক পরে বক্তৃতা করবেন। অপেক্ষার সময়টুকু স্টিভ জবসের আলোচনা শুনছিলেন।

মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ

মজার ব্যাপার হলো, সে সময়েও সমালোচিত ছিল ফেসবুক। তথ্য দেওয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের চাপ দেওয়া হচ্ছে—এমন অভিযোগ ছিল ফেসবুকের বিরুদ্ধে। বড়জোর ৫০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্যের নিরাপত্তা নিয়েই জাকারবার্গের টালমাটাল অবস্থা। ওয়াল্ট মসবার্গ এলেন সেই প্রসঙ্গেই। গুগল সম্পর্কেও জানতে চাইলেন। আরও জানতে চাইলেন, ব্যবহারকারীর তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে সিলিকন ভ্যালির দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বাকি পৃথিবীর তফাতটা কোথায়?

উত্তরটা জবস একটু ঘুরিয়ে দেন। বলেন, সিলিকন ভ্যালি ছোট জায়গা নয়। তথ্যের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে এখানে একেকজনের মত একেক রকম হতে পারে। অ্যাপলের কথাই ধরা যাক। অ্যাপল কখনো ডেভেলপারদের ওপর তথ্যের নিরাপত্তা ছেড়ে দেয় না। ব্যবহারকারীর তথ্য পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে অ্যাপের ডেভেলপার সতর্কবার্তা দিক বা না দিক, অ্যাপল বারবার সেই ব্যবহারকারীকে মনে করিয়ে দেয়। তথ্যের নিরাপত্তা মানে ব্যবহারকারীকে সহজ ভাষায় এবং বারবার জানানো যে তাঁরা ঠিক কী কী সেবার জন্য নিবন্ধন করেছেন এবং তাঁদের কাছ থেকে ঠিক কী কী তথ্য নেওয়া হচ্ছে।

মারিফুল হাসান, সূত্র: কোয়ার্টজ