বেসিস নির্বাচন নিয়ে জটিলতা

* ৩১ মার্চের নির্বাচন স্থগিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি। 
* ডিটিওর কাছে আপত্তি জানাবে নির্বাচন বোর্ড।

৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিত করার এবং বর্তমান কমিটির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর আদেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২২ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সৈয়দা নাহিদা হাবিবার সই করা এই চিঠি গতকাল মঙ্গলবার বেসিসের সভাপতিকে পাঠানো হয়। পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন (ডিটিও) এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ঠিকানায় অনুলিপিও পাঠানো হয়।
তিন দিন আগে নির্বাচন স্থগিতের এ রকম আদেশ জারির খবর শোনার পর বেসিস নির্বাচনের প্রার্থী
এবং সদস্যরা দুপুরের পর রাজধানীর কারওয়ান
বাজারে বেসিস কার্যালয়ে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিকেলে নির্বাচন বোর্ড, বেশির ভাগ প্রার্থী এবং বেসিসের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্যরা জরুরি সভায় বসেন। সভা শেষ হওয়ার পর নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম কামাল উপস্থিত সদস্যদের জানান, যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্যানেলসহ প্রায় সব প্রার্থীই উপস্থিত ছিলেন।
এস এম কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের আইনজীবীসহ চিঠিটি দেখেছি। এই চিঠিতে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই বলে আমরা মনে করছি। আমরা কাল (আজ বুধবার) ডিটিওকে আপত্তি জানাব। এরপর দরকার হলে আইনি পথে যাব। ৩১ মার্চ নির্বাচন হবে বলে আমরা আশা করছি।’
২২ মার্চ মধুমতী টেক নামের বেসিসের সদস্য একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রকিবুল মিনাসহ ১১ জনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন বন্ধের আদেশ দিয়ে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে সৈয়দা নাহিদা হাবিবা উল্লেখ করেন, গত বছরের ২৫ মে বেসিসের সংঘস্মারক ও সংঘবিধির কয়েকটি ধারা পরিবর্তন করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। পরিবর্তন করার পর চলতি বছরের ৮ জানুয়ারির মধ্যে তা যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) ও মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বেসিস তা করেনি। এ ছাড়া ৩১ অক্টোবর বেসিসের বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএমে) বেসিসের সংঘস্মারক ও সংঘবিধি অধিকতর সংশোধনের লক্ষ্যে গত বছরের ২২ নভেম্বর আরেকটি ইজিএম ডাকা হলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি। মূলত এসব কারণ দেখিয়ে বেসিসের নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মধুমতী টেকের স্বত্বাধিকার রকিবুল মিনা বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচন হোক, কিন্তু সেটি নিয়ম মেনে। যে ইজিএম হওয়ার কথা ছিল সেটি না করে কীভাবে নির্বাচন হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে শর্তগুলো দিয়েছে, সেগুলো মেনে নির্বাচন হতে তো কোনো বাধা নেই।’
বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা অপ্রতাশিত। নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য এটা করা হয়েছে বলে মনে করি।’
৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বেসিসের ৯টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩১ জন প্রার্থী।

রাহিতুল ইসলাম, ঢাকা