শুভ জন্মদিন, মাইক্রোসফট

১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে পপুলার ইলেকট্রনিকস সাময়িকীর একটি সংখ্যা হাতে বিল গেটসের কাছে ছুটে আসেন বন্ধু পল অ্যালেন। সে সংখ্যাটির প্রচ্ছদে অলটেয়ার ৮৮০০ কম্পিউটারের ছবি ছিল। অ্যালেন প্রস্তাব রাখেন কম্পিউটারটির জন্য প্রোগ্রামিং ভাষা বেসিক ইন্টারপ্রেটর বানানোর। বিল গেটস সঙ্গে সঙ্গে অলটেয়ারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমআইটিএসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শুরুটা তখন থেকেই। সে বছরের ৪ এপ্রিল অ্যালেন ও গেটস মিলে মাইক্রোসফটের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন। আজ প্রতিষ্ঠানটির ৪৩ বছর পূর্ণ হলো।

বর্তমানের অনেক প্রযুক্তির শুরু করতে চেয়েছিল মাইক্রোসফট। এর মধ্যে তাৎক্ষণিক অনুবাদ (রিয়াল-টাইম ট্রান্সলেশন), ট্যাবলেট কম্পিউটার ও ইন্টারনেটে যুক্ত টিভিও আছে। এমনকি ‘ট্যাবলেট’ শব্দও চালু করে মাইক্রোসফট। তবে শেষ পর্যন্ত সে প্রযুক্তিগুলো মাইক্রোসফটের হাত ধরে আলোর মুখ দেখেনি।

  • ১৯৯৪ সালে ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টাইমেক্সের সঙ্গে ‘ডেটালিংক ১৫০’ মডেলের স্মার্টঘড়ি তৈরি করে মাইক্রোসফট। সেটিই ছিল প্রথম স্মার্টঘড়ি।
  • ১৯৯৭ সালে ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে প্রায় নিশ্চিত দেউলিয়াত্ব থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপলকে বাঁচিয়েছিল মাইক্রোসফট।
  • মাইক্রোসফটের প্রথম ব্যবসাসফল পণ্য হলো এক্সেল। সফটওয়্যারটি অ্যাপলের ভিজিক্যালক ও লোটাস ১-২-৩ হটিয়ে শীর্ষে চলে আসে। অন্যভাবে বললে, এক্সেল না থাকলে হয়তো মাইক্রোসফটের কিছুই সম্ভব হতো না।
  • ১৯৮৬ সালে আইপিওর সময়ে ৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারে মাইক্রোসফটের মূল্যায়ন করা হয় (সূত্র: ফরচুন)। গতকাল সন্ধ্যার হিসাব অনুযায়ী, ৪৩ বছরে তা বেড়েছে প্রায় ৮৭৭ গুণ।
  • ১৯৮৭ সালে ৩১ বছর বয়সে সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে সে সময়ের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার বানিয়েছে মাইক্রোসফট। ১৯৯৫ সালে ১ হাজার ২৯০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হন তিনি।
  • মাইক্রোসফটের উত্থান ৩ বিলিয়নিয়ার এবং ১২ হাজারের বেশি মিলিয়নিয়ার কর্মী তৈরি করেছে।