আমজনের সফলতার পেছনে পিৎজা!

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার এক আমাজন বিতরণকেন্দ্র। তবে এক ছবিতে আমাজনের বিশালতা বোঝানো যাবে না। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার এক আমাজন বিতরণকেন্দ্র। তবে এক ছবিতে আমাজনের বিশালতা বোঝানো যাবে না। ছবি: রয়টার্স

সবচেয়ে বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট আমাজন। এই আমাজনই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোসকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। কীভাবে আমাজন এত সফল? উত্তরটা হলো পিৎজা!

আমাজনের শুরুর দিকে জেফ বেজোস একটি নিয়ম চালু করেন। নাম দেন ‘টু পিৎজা রুল’ বা দুই পিৎজা তত্ত্ব। মূল বিষয় হলো আমাজনের প্রতিটি অভ্যন্তরীণ দল এতটাই ছোট হতে হবে, যেন দুটি পিৎজার মাধ্যমে গোটা দলের উদরপূর্তি করানো যায়। জেফ বেজোসের এই নিয়ম চালুর পেছনের উদ্দেশ্য খাবারের খরচ কমানো নয়। বেজোস মূলত দুটি উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন-কার্যকারিতা ও কর্মপরিধি।

প্রথমত, ছোট দল যেকোনো কাজ সম্পাদনে অনেক কম সময় নিয়ে থাকে। একটি ছোট দল পরিচালনা করাও অনেক সহজ এবং খুব সহজেই দলের সদস্যদের যেকোনো নির্দেশনা ও তথ্য সম্পর্কে হালনাগাদ রাখা যায়। এতে দলের সদস্যরাও কাজে বেশি সময় ধরে মনোনিবেশ করতে পারেন।

তবে বেজোসের দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটিই আমাজনের সফলতার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। কারণ, ছোট ছোট দল তৈরি করার পেছনে বেজোসের দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটি ছিল যেন সব দলের সদস্য একসঙ্গে বসে কাজ করতে পারেন এবং তাঁদের বড় বড় লক্ষ্য অর্জন করার জন্য প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সম্পদ একসঙ্গে সবাই ব্যবহার করতে পারেন। আর এই টু-পিৎজা নিয়মটি প্রবর্তনের ফলেই আমাজন আজ বিশ্বের এক নম্বর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান