মার্ক জাকারবার্গকে জবাবদিহির জন্য ডেকেছে ইইউ পার্লামেন্ট

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: সংগৃহীত
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুক ও কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনার বিষয়টি বিশদভাবে জানাতে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে ডেকে পাঠিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি অ্যান্থনীয় তাজিয়ানি জানান, ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ আগামী সপ্তাহেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টে হাজির হবেন। প্রথমে মার্ক জাকারবার্গ নিজে হাজির না হয়ে তাঁর অধস্তন জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক জোয়েল কাপলানকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাঠাতে চাইলেও, পার্লামেন্টের সভাপতির দাবির মুখে মার্ক জাকারবার্গ এখন নিজেই উপস্থিত হবেন বলে জানিয়েছেন।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি অ্যান্থনীয় তাজিয়ানি বলেছেন, এই পার্লামেন্ট ৫০ কোটির বেশি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এবং বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফেসবুক কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনায় যে ৮ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ম্যানফ্রের্ড ভেবার বলেছেন, এর আগে মার্ক জাকারবার্গ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, গ্রাহকদের তথ্য পাচারের বিষয়টি তাঁর প্রতিষ্ঠান গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে, এরপরও এই তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে।

ম্যানফ্রের্ড ভেবার বলেন, ‘অনেক ইউরোপীয় রাজনীতিবিদ ফেসবুক বন্ধ করে দিতে বলেছেন। আমরা এই বিষয়ে মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে পার্লামেন্ট সরাসরি কথা বলব, তা ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইউরোপে ফেসবুকের বেশি ভোক্তা রয়েছে।’

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি অ্যান্থনীয় তাজিয়ানি সম্প্রতি বলেছেন, ‘নতুন ইইউ তথ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী ফেসবুকে ভোক্তাদের তথ্য সুরক্ষা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে এবং এই নিশ্চয়তার বিষয়টি নিয়ে মার্ক জাকারবার্গের কাছে পরিষ্কার জবাব প্রত্যাশা করছি।’

দুই সপ্তাহ আগে ইউরোপীয় কমিশনের বিচার, ভোক্তা ও লিঙ্গ সমতাবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার ভেরা জারোভা সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলোকে তাদের ব্যবসায়িক অবস্থার সংশোধন না করলে জোরপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এ ছাড়া ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নানা তথ্য মুছে দেওয়া ও ভোক্তাদের না জানিয়ে গোপনে শর্তাবলি পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারকে অভিযুক্ত করেছে ইউরোপীয় কমিশন। তারা জানিয়েছে, বিষয়গুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে পরিচালিত গ্রাহক সুরক্ষা আইনের সঙ্গে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।