কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের দাম প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে

নতুন বাজেটে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব হয়েছে। ফলে বাজেট বাস্তবায়িত হলে কম্পিউটারের দাম ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। গত শনিবার বিকেলে বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা সভায় বিসিএসের নেতৃবৃন্দ বাজেট প্রতিক্রিয়ায় মতামত ব্যক্ত করেন। বিসিএসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিসিএস বলছে, ঘোষিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৮৪.৭১ এবং ৮৪.৭৩ শিরোনাম সংখ্যা/এইচ এস কোড-এ ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি প্রত্যাহার করার প্রস্তাব হয়েছে অথচ গত বছর এই কর অব্যাহতি চালু ছিল। এর ফলে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য প্রায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া কম্পিউটারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ইউপিএস/আইপিএস অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। ইউপিএস/আইপিএসের শুল্কহার বৃদ্ধি প্রস্তাব (বর্তমান হার ১০%, প্রস্তাবিত হার ১৫%) করা হয়েছে। এ ছাড়া কম্পিউটার প্রিন্টার এবং ফটোকপির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার জন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার শুল্কহার বৃদ্ধি প্রস্তাবে (বর্তমান হার ১%, প্রস্তাবিত হার ১৫%) কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করবে। শিগগিরই বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করার জন্য বিসিএস নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. আছাব উল্লাহ খান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মুহিবুল হাসান, এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা, স্টারটেকের অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।